ধরা পড়েছে ছাত্রলীগ, মামলার আসামি বিএনপি নেতা-কর্মী: ফখরুল

বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করতে অসংখ্য মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং অসংখ্য আসামি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার দুপুরে ১২টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ছবি

বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করতে অসংখ্য মামলা দেওয়া হচ্ছে এবং অসংখ্য আসামি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার দুপুরে ১২টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, সরকার বিএনপিকে নির্মূল করতে চায়। সত্য-মিথ্যা যে কোনো ঘটনা ঘটলেই তারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দেয়। বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়, তাদের হয়রানি করা হয়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় গায়েবি মামলাও দেওয়া হয়। যেটা আমরা নির্বাচনের আগে দেখেছি, অসংখ্য গায়েবি মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজ বলছে, গ্রেপ্তার বাণিজ্য করার জন্য এবং প্রকৃত অপরাধীরা যেন ধরা না পড়ে, তাদের যেন ধরতে না হয় সে জন্য তারা অসংখ্য মামলায় অসংখ্য আসামি করে। পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, প্রথম থেকেই দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে প্রত্যেকটি ঘটনায় সরকারের ইন্ধন ছিল সবচেয়ে বড়।

তিনি বলেন, রংপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা সৈকত, রেজাউল এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে। তারা সূত্রপাত ঘটালো কিন্তু মামলায় অনেক বিএনপি নেতা-কর্মীদের নাম দিয়ে দিয়েছে। ৪টি মামলায় ৪১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিএনপির কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা ঘটনাস্থলে ছিল না এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তও না। রংপুরে এক দিকে ইউএনও-পুলিশ প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছিল, তখন বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়। কুমিল্লার ঘটনায় তারা পাগল ইকবালকে সাজিয়েছে, বলা হচ্ছে সে নাকি কোরআন শরিফ মণ্ডপে রেখেছে। যেগুলো কোনো মতেই বিশ্বাসযোগ্য না। এটা অত্যন্ত পরিকল্পিত ঘটনা এবং পরিকল্পনা করেছে সরকারের এজেন্সিগুলো। উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এটা করা হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণের যে সংকট; ভাতের সংকট, ভোটের সংকট, বাক-স্বাধীনতার সংকট, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সংকট সেখান থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়া।

চৌমহুনীতে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ২৩টি মামলা হয়েছে। তাতে ৭ হাজার ৯৬১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলা কবে শেষ হবে? উদ্দেশ্য হচ্ছে, এই ঘটনাগুলো ঘটিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে তাদের হয়রানি করা, গ্রেপ্তার করা, বড় গ্রেপ্তার বাণিজ্য করা এবং মূল জায়গা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়া— বলেন ফখরুল।

তিনি আরও বলেন, কুমিল্লার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বলছে, এটা কুমিল্লার আওয়ামী লীগের নিজস্ব দ্বন্দ্ব। দুটি গ্রুপ আছে, সেই গ্রুপের দ্বন্দ্বে এই ঘটনা ঘটেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের চিন্তাই করছি না। আমরা এই সরকারের পতন চাই। এই সরকারকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

High Temperature Days: Barring miracle, record of 76yrs breaks today

At least 23 days of this month were heatwave days, which equals the record set in 2019 for the entire year.

10h ago