একরামকে বহিষ্কারের দাবি কাদের মির্জার
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে এ দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'গত ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সন্তান শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে একরাম বলেছেন- তিনি ও তার ছেলে বাংলাদেশ আ. লীগের রাজনীতির সঙ্গে আর থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধু নোয়াখালীতে না তারা সারা বাংলাদেশের আ. লীগের রাজনীতির সঙ্গে আর থাকবে না। এর কিছুক্ষণ পর আবার ফেসবুক লাইভে এসে সাংবাদিকদের গালাগাল করে বলল, আমি এ কথা বলি নাই। অথচ ইতোমধ্যে ফেসবুকে তার দল ত্যাগের ঘোষণার ভাইরাল হয়ে গেছে। এই পাগল উন্মাদকে কেন এখন পর্যন্ত জেলা আ. লীগের সেক্রেটারি রাখা হয়েছে জানি না।'
কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, 'এই একরাম সেই একরাম যে একরাম বলছে- ওবায়দুল কাদেরের পরিবার রাজাকার পরিবার।'
কাদের মির্জা বলেন, 'সে কী রাজনীতি বুঝে বা জানে? একটা উদ্ভট মাতাল বাজে লোককে জেলা আ. লীগের সেক্রেটারি বানানো হইছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। নোয়াখালীকে সে কলঙ্কিত করেছে। নোয়াখালীর রাজনীতিকে সে ধ্বংস করেছে। এ ছেলে এখনো ছেলেমি করে। তার টাকা আছে এজন্য তাকে এখনো সেক্রেটারি রাখা হইছে।'
কাদের মির্জা আরও বলেন, 'নোয়াখালীর ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে জননেত্রী শেখ হাসিনা, আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন যিনি এ অঞ্চলের দায়িত্বে আছেন। যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে মাহবুবুল আলম হানিফ হস্তক্ষেপ করবেন। অন্যদের কাজ কী, নোয়াখালী নিয়ে কথা বলার। টাকা খেয়ে দালালি করা। একটা অরাজনৈতিক ছেলেকে এভাবে পুনর্বাসন করা লজ্জাকর ব্যাপার ও দুঃখজনক ব্যাপার। একটা মাতাল ছেলেকে এখানে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই নোয়াখালী মালেক উকিলের নোয়াখালী, নুরুল হক সাহেবের নোয়াখালী, এ নোয়াখালী শহীদ উদ্দিন কচি ভাইয়ের নোয়াখালী। সেই নোয়াখালীর সম্মান নষ্ট করেছে একরাম। তাই বলব (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে তাকে অনতিবিলম্বে নোয়াখালীর রাজনীতি থেকে সরানো হোক। সে এখানে সেক্রেটারি হওয়ার কোনো পদে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। সে এমপি হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না। তার অর্থের কারণে, তার অস্ত্রের কারণে তাকে নেতৃত্বে রাখা হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মীরা এটা মানবে না। কখনো মানতে পারে না।'
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Comments