‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, একটি লোকও না খেয়ে মারা যায়নি’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, একটি লোকও না খেয়ে মারা যায়নি। এটা শেখ হাসিনার অবদান। বাংলাদেশে না খেয়ে কেউ মারা যাবে না।
নারায়ণগঞ্জে স্টিল রাইস সাইলো এবং প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের সময় বক্তব্য দিচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সনদ সাহা/স্টার

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, একটি লোকও না খেয়ে মারা যায়নি। এটা শেখ হাসিনার অবদান। বাংলাদেশে না খেয়ে কেউ মারা যাবে না।

আজ রোববার দুপুরে উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকায় সিএসডি ক্যাম্পাসে খাদ্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে স্টিল রাইস সাইলো এবং প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'একটি দল বলেছিল করোনায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে ২ লাখ লোক না খেয়ে মারা যাবে। আমি খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, একটি লোকও না খেয়ে মারা যায়নি। এটা শেখ হাসিনার অবদান। বাংলাদেশে না খেয়ে কেউ মারা যাবে না। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। ক্ষুধা ইতোমধ্যে নিরুদ্দেশ হয়েছে। আমরা এখন পুষ্টিতে আছি এবং নিরাপদ খাদ্যে আছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা সবাই যেন মানসম্মত, ভেজালবিহীন স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য খেতে পারি সেই দিকে আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা যেন খাদ্যে ভেজাল দিতে না দেই, পঁচা-বাসী খাবার যেন কেউ বিক্রি করতে না পারে, আমরা নিরাপদ খাদ্য আইন তৈরি করেছি। জেলায় জেলায় অফিস হয়েছে। জেলায় জেলায় এর কার্যক্রম চলছে। ডিসি, সাংবাদিকসহ সবাই এ দিকে নজর রাখবেন।'

তিনি বলেন, 'ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের খাদ্যের মজুত বাড়াতে হবে। আর এ মুজদ বাড়ানোর জন্যই আমাদের এ সাইলোগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সাইলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কৃষক যেন ন্যায্য মূল্য পায় এজন্য কৃষকরা ভেজা ধান নিয়ে এলে শুকানোর মেশিনের মাধ্যমে এক ঘণ্টায় শুকিয়ে বিক্রি করতে পারে সেজন্য ২০০টি পেডি সাইলো করার প্রকল্প আছ।'

'তার মধ্যে ৩০টি অনুমোদন হয়েছে। আমরা সেই কাজ শুরু করছি। এটা একনেকে অনুমোদন হয়েছে আমরা অল্প কিছুদিনের মধ্যে টেন্ডারে যাব। এ সাইলোতে যদি আমরা চাল, গম রাখি তাহলে আমরা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে পারব। এখানে মান সম্মত করে রাখতে পারব। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি,' যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নারায়ণগঞ্জের সাইলোর ব্যয় হবে ৩২০ কোটি ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪০ টাকা। ১৭ একর জায়গায় নির্মাণাধীন স্টিল রাইস সাইলোতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দুই থেকে ৩ বছর পর্যন্ত ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল সহ খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা যাবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখযোগ্য প্রকল্প। এ প্রকল্প একটি নয় ৮টি হচ্ছে। এর মধ্যে একটি ময়মনসিংহে, মধুপুরে, একটি আশুগঞ্জে। এগুলোর কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আমরা খুব শিগগির এগুলো চালু করব। আর নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, খুলনা, নওগাঁ এবং চট্টগ্রাম। বরিশালে কাজ শুরু হয়েছে, নারায়ণগঞ্জে আজকে শুরু করেছি। বাকিগুলো শুরু হবে।'

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'যে যেখানে আছেন, যে চাকরি করেন, আমরা রাজনৈতিক নেতরা, শিক্ষকরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, সরকারি চাকরিজীবীরা নিজের জায়গা থেকে সবাই মিলে সততা ও নিষ্ঠার সাথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে যদি কাজ করি তবে সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ হতে ২০৪১ সাল নয় ২০৩১ সালের মধ্যেই সম্ভব বলে আমি মনে করি। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English

How hot is too hot?

Scientists say our focus should not be on just heat, but a combination of heat and humidity

36m ago