অপরাধ ও বিচার

একই সঙ্গে ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দিতেন ১৪৪ বিষয়ে ভুয়া সার্টিফিকেট

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে ‘প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’, ‘পিচ ব্লেন্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ ও ‘পিস ল্যান্ড ইউনিভার্সিটি’ নামে ৩টি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মো. সাইদুর রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে ‘প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’, ‘পিচ ব্লেন্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ এবং ‘পিস ল্যান্ড ইউনিভার্সিটি’ নামে তিনটি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মো. সাইদুর রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে 'প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি', 'পিচ ব্লেন্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি' ও 'পিস ল্যান্ড ইউনিভার্সিটি' নামে ৩টি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মো. সাইদুর রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

ডা. মো. সাইদুর রহমান ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত বাকি ৫ জন হলেন—নুরুল হক সরকার ওরফে শেখ মনি সরকার (৭২), মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৮), ডা. মো. সাইদুর রহমান ওরফে নজরুল (৩০), মাহফুজুর রহমান মাহফুজ (৩৭), ডা. মো. আমান উল্লাহ (৩৮) ও দেবাশীষ কুণ্ডু (৫২)।

আজ বৃহস্পতিবার ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আকতার সংবাদ সম্মেলনে জানান, রাজধানীর মালিবাগস্থ প্যারামাউন্ট টাওয়ারে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ১ সহযোগীসহ ৪ ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জানান, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে অসংখ্য ভুয়া সনদপত্র, টেস্টিমোনিয়াল, ট্রান্সক্রিপ্ট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, অ্যাডমিট কার্ড, কয়েকটি নকল সিল জব্দ করা হয়।

এ ছাড়া, ৪টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, ভুয়া সনদ প্রদানের বিজ্ঞাপনের পেপার কাটিং ও লিফলেট, প্রেসক্রিপশন, অসংখ্য ভিজিটিং কার্ড, নব দিগন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ডক্টরস চেম্বার'র কপি ও একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি কিবোর্ড ও একটি প্রিন্টারও জব্দ করা হয়েছে।

'এই জিনিসগুলো ভুয়া সনদপত্র তৈরি ও ছাপার কাজে ব্যবহৃত হতো,' বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।

তিনি জানান, চক্রটি প্রায় ২ দশক ধরে 'প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি'র নামে ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রির ব্যবসা করে আসছিল। প্রতারণার কাজে তারা ভুয়া ওয়েবসাইট, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভুয়া আদেশ ও হাইকোর্টের জাল রিট প্রদর্শন করে।

তারা এমবিবিএস, বিডিএস, এমফিল, পিএইচডি, ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাডভোকেটশিপসহ ১৪৪টি বিষয়ের ওপরে অসংখ্য ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপি'র রমনা থানায় একটি মামলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় আর এই 'প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি' এক প্রতিষ্ঠান নয়।

Comments