অপরাধ ও বিচার

হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা: নোয়াখালী জেলা যুবদল সভাপতি গ্রেপ্তার

দুর্গোৎসব চলাকালে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা রাঙ্গামাটি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

দুর্গোৎসব চলাকালে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা রাঙ্গামাটি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম তার কার্যালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মোলনে এ তথ্য জানান। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবদলের সভাপতি ছাড়াও আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, হাজীপুর ইউনিয়নের মধ্য হাজীপুর গ্রামের রাজু আহম্মেদ (২৫)। একই ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব হাজীপুর গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম সুজন (২৯)। পশ্চিম একলাশপুর গ্রামের মো. মুরশিদ আলম রাসেল (২৭) ও চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রহিম (৭০)। 

গত ২৪ ঘণ্টায় বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আগামী কাল বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। 

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ অক্টোবর জুমার নামাজ শেষে জেলার বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরে কয়েক হাজার মানুষ তৌহিদী জনতার নামে চৌমুহনী ডিবি রোড, ব্যাংক রোড ও কলেজ রোডে হামলা চালায়। হামলাকারীরা হিন্দুদের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর, মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।'

তিনি আরও বলেন, 'ওই হামলায় ইসকন মন্দিরের দুই ভক্ত যতন সাহা ও প্রান্ত চন্দ্র দাশ নিহত হন। এ সব ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ২০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জন আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।' 

পুলিশ সুপার আরও জানান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হামলার ঘটনায় ইন্দনদাতা হিসেবে মঞ্জুরুল আজিম সুমনের নাম বলেছে। তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। এ ছাড়া তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মঞ্জুরুল আজিম সুমনসহ গ্রেপ্তার ৫ আসামি বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
 

Comments