মুন্সিগঞ্জে ‘ছাত্রলীগ কর্মীদের’ হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় আহত যুবক মো. সাজিদুল ইসলাম মীম (২২) মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাতে গজারিয়া থানার পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মীম উপজেলার ইসমানিরচর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মীমের বাবা আব্দুস সাত্তার মিয়া গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন, তাতে উল্লেখ করা হয়—১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম মোল্লার অনুসারীরা মারধর করে মীমকে গুরুতর আহত করে।

মামলায় সংগ্রাম মোল্লাসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বনভোজনে যাওয়ার জন্য গত ১০ সেপ্টেম্বর সংগ্রাম মোল্লার (২৪) কাছ থেকে ৪০০ টাকা ধার নেয় মীম। সেই ঘটনার জের ধরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে সংগ্রামের অনুসারীরা মীমকে মারধর করে। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর আহত অবস্থায় মীমকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

গজারিয়া থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে মারধর করা হয়েছে মীমকে।'

'মীমের মৃত্যু হওয়ায় মারধরের মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে,' বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আহমেদ রুবেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মীম নিহতের ঘটনায় হোসেন্দী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম মোল্লাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে দলীয়ভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'