নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে হামলা: আ. লীগের ৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে লাঞ্ছিত ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম বাদি হয়ে সুধারাম মডেল থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৮ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় গতকাল দুপুর থেকে শুরু করা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীরা। জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএমএ নেতাদের সমঝোতায় সোমবার দুপুরে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন এবং তারপর থেকে হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
এর আগে তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ওপর হামলা, ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিএমএ, স্বাচিপ, বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন, ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদ, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সদস্যরা।
পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক দিয়ে হাসপাতালের সামনে এসে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
হাসপাতালের ৯ কোটি টাকার টেন্ডার (এমএসআর) শিডিউল কেনাকে কেন্দ্র করে গতকাল হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ হামলার পেছনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনকে দায়ী করে। এর প্রতিবাদে হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা গতকাল দুপুর থেকে থেকে কর্মবিরতি শুরু করে।
শিহাব উদ্দিন শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে এ ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, 'যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।'
Comments