অপরাধ ও বিচার

আমিন বাজারে ছাত্র হত্যা মামলা: ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন

সাভারের আমিন বাজারে ৬ ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ২৫ জনকে খালাস দিয়েছেন।
ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা ৬ ছাত্র। ছবি: সংগৃহীত

সাভারের আমিন বাজারে ৬ ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ২৫ জনকে খালাস দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (পিপি) শাকিলা জেসমিন মিতু দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ জন হলেন—আব্দুল মালেক, সাইদ, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেপু, জামশের আলী, মির হোসেন, মজিবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, রজ্জব আলী, আলম নুরা, মোহাম্মদ রানা, আব্দুল হামিদ ও আসলাম মিয়া।

শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজীব হোসেন, মো. ওয়াসিম, সাত্তার, মো. সেলিম, মনির হোসেন, আলমগীর, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নূর ইসলাম, শাহাদত হোসেন জুয়েল, টুটুল, মাসুদ, মখলেস, তোতুন ও সাইফুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গত ২২ নভেম্বর এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। সেদিনই আদালত রায়ের ঘোষণার তারিখ ঠিক করেছিলেন।

সাভারের আমিনবাজার এলাকায় ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে ডাকাত সন্দেহে ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

তারা হলেন—ধানমন্ডির ম্যাপল লিফ স্কুলের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত।

তাদের আরেক বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হয়েছিলেন।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী আহত ও নিহত ছাত্রদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ডাকাতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করেন। ২ বছর তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

ওই বছরই আদালত ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং আল-আমিনকে ডাকাতি মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। মামলার বিচার চলাকালে রাশেদুল ইসলাম, পর্বত ও কবির হোসেন নামে ৩ আসামির মৃত্যু হয়। পলাতক রয়েছেন ১৬ জন।

এই হত্যা মামলায় ৯২ জনের মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

High Temperature Days: Barring miracle, record of 76yrs breaks today

At least 23 days of this month were heatwave days, which equals the record set in 2019 for the entire year.

10h ago