‘অধ্যক্ষ আমাকে আন্দোলনে যেতে বাধা দিচ্ছেন’

রামপুরার সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলনের পরিচিত মুখ এবং দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা সেঁজুতি অভিযোগ করেছে, তার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলম সরদার তাকে আন্দোলনে যোগ দিতে বাধা দিচ্ছেন।
কানিজ ফাতেমা সেঁজুতি (মাঝে)। ছবি:স্টার

রামপুরার সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলনের পরিচিত মুখ এবং দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা সেঁজুতি অভিযোগ করেছে, তার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলম সরদার তাকে আন্দোলনে যোগ দিতে বাধা দিচ্ছেন।

এ অভিযোগ তুলে আজ সোমবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে সে বলে, 'প্রিন্সিপাল আজ আমাকে ও আমার বাবাকে স্কুলে ডেকেছিলেন। সেখানে অধ্যক্ষ আমাকে বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক এবং সরকার দাবি মেনে নিয়েছে। তিনি আমাকে আর আন্দোলনে যোগ না দিতে বলেন।'

সেঁজুতি আরও বলে, 'অধ্যক্ষ আমাকে বলেন, তোমার বাবার পকেটে পুলিশ যদি গান (বন্দুক) ঢুকিয়ে দেয়, তাহলে কী করবে? তোমাদের কি সেই ধরনের ব্যাক আপ আছে? আমি বললাম, আমার বাবা অপরাধী নন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করবে কেন?'

'অধ্যক্ষ তখন বলেন, আমার যদি রাজনীতিতে আসার কোনো ইচ্ছা থাকে, তাহলে তিনি তার চ্যানেলের মাধ্যমে আমাকে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করবেন। আমি বললাম, আমার কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা নেই। আমি নিরাপদ সড়কের জন্য একটি যৌক্তিক আন্দোলনে অংশ নিচ্ছি,' যোগ করে সেঁজুতি।

সেঁজুতি এ বছর দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে স্কুলে যেতে হওয়ায় আজকের বিক্ষোভে যোগ দিতে পারেনি সে।

যোগাযোগ করা হলে দক্ষিণ বনশ্রী মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলম সরদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তিনি ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করার জন্য সেঁজুতির বাবাকে ফোন করেছিলেন শুধু।

অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, 'সে যা বলেছে, তা সত্য নয়। সরকার তাদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও যদি তারা অকারণে রাস্তায় আন্দোলন করে, আমি একজন শিক্ষক হিসেবে তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারি। আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। আমি জানতে চেয়েছিলাম আমাদের ছাত্ররা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে কি না।'

ডিজেলের দাম বাড়ার পর বাসের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা সড়কে আন্দোলনে নেমেছে। রাজধানীতে বেপরোয়া যানবাহনের চাপায় ২ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর তাদের বিক্ষোভ আরও বড় হয়ে ওঠে।  

গত ২৯ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দিনকে রামপুরায় বাস চাপা দেওয়ার পর বিক্ষোভ আরও গতি পায়।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka’s Toxic Air: High levels of cancer-causing elements found

The concentration of cancer-causing arsenic, lead and cadmium in Dhaka air is almost double the permissible limit set by the World Health Organization, a new study has found.

7h ago