পাকিস্তানে তীব্র গরমে কিডনি রোগী বাড়ছে
চলমান তীব্র গরমের কারণে পাকিস্তানে কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে দেশটির একটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম।
আজ রোববার পাকিস্তানের দ্য নিউজ'র বরাত দিয়ে জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হিটস্ট্রোকের কারণে দেশটিতে বিশেষ করে সিন্ধু ও পাঞ্জাব প্রদেশে কিডনি, ডায়রিয়া ও গ্যাস্ট্রোএনটারিটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
গতকাল সিন্ধু প্রদেশের জেকোবাবাদে ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। প্রদেশের অন্যান্য স্থানেও তীব্র গরম ছিল।
সেখানকার অধিবাসীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিশুদ্ধ পানির অভাবে মানুষ এই তীব্র গরমে অস্থির হয়ে পুকুরের নোংরা পানি পান করায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
'গত কয়েকদিন থেকে ক্রমবর্ধমান হিটস্ট্রোকে পুরো দেশ কাবু হয়ে পড়েছে' উল্লেখ করে গামবাত ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (জিআইএমএস) পরিচালক ডা. রহিম বক্স ভাত্তি দ্য নিউজকে বলেন, 'হিটস্ট্রোকের কারণে কিডনি রোগী, গ্যাস্ট্রোএনটারিটিস ও অন্যান্য রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।'
সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ডা. জুম্মন বাহোটো গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'কয়েকজনের মৃত্যুর' সংবাদ পাওয়া গেছে। হিট স্ট্রোক ও পানিবাহিত রোগের কারণে বেশ কয়েকটি শহরে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সার্বিক পরিস্থিতির তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি 'হিটস্ট্রোক ক্যাম্প' খুলতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, বিশুদ্ধ পানি, খাওয়ার স্যালাইন ও অন্যান্য ওষুধ সরবরাহের কথাও বলা হয়েছে।
লাহোরের ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের (ইউএইচএস) উপাচার্য অধ্যাপক জাভেদ আকরাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'লাহোরে তীব্র গরম ও পানি শূন্যতার কারণে রাস্তায় অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। হিটস্ট্রোকের কারণে মৃত্যু ও অসুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে আমরা কাজ করছি।'
দিনের বেলায় পাঞ্জাবের শহরগুলোয় বাড়ির বাইরে বের হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যারা বের হচ্ছেন তাদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
আকু ওয়েদারের তথ্য মতে, আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
Comments