তালেবান আতঙ্কে কান্দাহার ছাড়ছেন মানুষ

আফগানিস্তানের কান্দাহার শহর থেকে গত সপ্তাহে কাওসার সামা তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাজধানী কাবুলে চলে আসেন।
আফগানিস্তানের কান্দাহারের প্রদেশের সীমান্ত শহর স্পিন বলদাক দখলের পর তালেবান সমর্থকদের উল্লাস। ছবি এপি ফাইল ফটো

আফগানিস্তানের কান্দাহার শহর থেকে গত সপ্তাহে কাওসার সামা তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাজধানী কাবুলে চলে আসেন।

২১ বছর বয়সী কাওসার ও তার পরিবার মনে করছেন, আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কান্দাহার তাদের জন্যে মোটেও নিরাপদ নয়। কেননা, সম্প্রতি দেশটির এই দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের চারপাশ দখল করে নিয়েছে তালেবান।

কান্দাহারের অধিবাসীরা আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা ফাঁদে পড়ে গেছেন। তালেবানরা যেকোনো সময় শহরে ঢুকে পড়তে পারে, এমন ভয়ে সব সময় ভীত তারা।

সামা বলেন, 'শিশুদের স্কুলে পাঠানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।'

কান্দাহার শহরেই বেড়ে উঠেছেন ২৩ বছর বয়সী নাভিদ আমিনি। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, 'সম্প্রতি এই প্রদেশে এমন কিছু ঘটছে যা আমি আগে কখনো দেখিনি। শহরের চারপাশে যুদ্ধ চলছে।'

কান্দাহারে তালেবানদের প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে কাওসার ও নাভিদের মতো সেখানকার অধিবাসীদের উদ্বেগও বাড়ছে।

গতকাল বুধবার কান্দাহারের বেশ কয়েকজন অধিবাসী আলজাজিরাকে জানান, প্রদেশের চারটি জেলায় যুদ্ধ চলছে।

কান্দাহারের আরেক বাসিন্দা দুর মোহাম্মদ (৪২) বলেন, তার ভাগ্নে আহমাদুল্লাহ পুলিশে চাকরি করতেন। তাকে সপ্তাহখানেক আগে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

অপর বাসিন্দা নাসির আহমাদ (২৪) জানিয়েছেন তার ভাই, ভাবি ও মা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি মনে করেন, তালেবান যোদ্ধারাই তাদেরকে গুলি করেছে।

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগান সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যারা কাজ করছেন তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে তালেবানরা এবং তাদের অনেককে হত্যা করা হচ্ছে।

তালেবানরা এমন দাবি অস্বীকার করে বলছে, এটি আফগান সরকারের 'অপপ্রচার'।

Comments

The Daily Star  | English

Rooppur Nuclear Power Plant: First unit to start production in December

Project deadline extended by 2 years, but authorities hope to complete grid line work before scheduled commissioning

9h ago