‘রুনা লায়লা আমাদের অহংকার’

জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লা এক নামে পরিচিত উপমহাদেশ জুড়ে। বাংলাদেশকে তিনি নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। আজ এই খ্যাতিমান শিল্পীর ৬৯তম জন্মদিন।
রুনা লায়লা। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল

জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লা এক নামে পরিচিত উপমহাদেশ জুড়ে। বাংলাদেশকে তিনি নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। আজ এই খ্যাতিমান শিল্পীর ৬৯তম জন্মদিন।

সংগীত জীবনে প্রায় ১০ হাজার গান গেয়েছেন বরেণ্য এই শিল্পী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি হিন্দি ও উর্দু ভাষায় ভারতীয় ও পাকিস্তানি চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। এ ছাড়াও, তিনি পাঞ্জাবি, সিন্ধি, পশতুন, গুজরাটি সিনেমায় গান গেয়েছেন।

রুনা লায়লার অনেক গান এ দেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে। আমি নদীর মতো কত পথ ঘুরে, ওই দুলছে দেখো দোলনচাঁপা দুলছে, গানেরই খাতায় স্বরলিপি, ও আমার জীবন সাথী, তুমিই বড় ভাগ্যবতী, শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাব, যখন থামবে কোলাহল, যখন আমি থাকব না, বৃষ্টিভেজা রাতে, পান খাইয়া ঠোঁট, বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম, বাড়ির মানুষ কয়, ইস্টিশনের রেলগাড়িটাসহ অসংখ্য গান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জয়প্রিয় গান হয়ে রয়েছে।

ভারতের শ্রীনগরের একটি হাসপাতাল তৈরির জন্য ফান্ড গঠনে বিনা পারিশ্রমিকে তিনি গান গেয়েছিলেন আশির দশকের শুরুর দিকে। সেই হাসপাতালে আজও লেখা আছে, 'ডোনেটেড বাই রুনা লায়লা'।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ছবি: স্টার

গাজী মাজহারুল আনোয়ার এই শিল্পীকে নিয়ে বলেন, 'রুনা লায়লার মতো শিল্পী বহু বছর পরপর জন্ম নেয়। যুগে যুগে এমন শিল্পীর আবির্ভাব ঘটে। বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। তাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। রুনা লায়লা আমাদের অহংকার, সুরের জাদুকর।'

তিনি আরও বলেন, 'শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে তার সুনাম।'

'আমিই প্রথম রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিনকে দিয়ে এক সিনেমায় গান করাই। তাও একই গান দুজনে গেয়েছিলেন। "প্রতিনিধি" সিনেমায় গানটির কথা আমার লেখা ছিল। "তুমিই বড় ভাগ্যবতী" গানটির আবেদন কমেনি,' যোগ করেন তিনি।

ফেরদৌসী রহমান। ছবি: স্টার

গুণী সংগীত শিল্পী ফেরদৌসী রহমান বলেন, 'রুনা লায়লার মতো শিল্পী আমাদের দেশে আছে, এটাই একটা গর্ব। বিশেষ এই দিনে তার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'সেই ছোটবেলা থেকেই রুনা লায়লাকে চিনি। এ জন্য সম্পর্কটা গভীর। আমার খুব পছন্দের মানুষ সে। ওর মা ও বড় বোনের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ছিল আমার। ওর সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে, গানের প্রতি প্রবল ভালোবাসা। গানের জন্য সাধনা ও ত্যাগ দুটিই করেছে। সত্যি বলতে, রুনা লায়লা নিজস্ব একটি স্টাইল গড়ে তুলেছিল।'

Comments