মঞ্চ নাটক

ষষ্ঠ শতকের বরেন্দ্রী অঞ্চলের এক রক্তক্ষয়ী কাহিনী নিয়ে ‘কৈবর্তগাথা’

মিলনায়তন ভর্তি দর্শকের উপস্থিতিতে মঞ্চস্থ হলো নাটক ‘কৈবর্তগাথা’।
ছবি: সংগৃহীত

মিলনায়তন ভর্তি দর্শকের উপস্থিতিতে মঞ্চস্থ হলো নাটক 'কৈবর্তগাথা'।

শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে বিবর্তন যশোর ঢাকা ইউনিটের পরিবেশনায় নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।

নাট্যকার আব্দুল্লাহেল মাহমুদের লেথা 'কৈবর্তগাথা' নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন ফয়েজ জহির। নাটকের পোষাক পরিকল্পনা করেছেন নায়লা আজাদ নুপুর এবং সঙ্গীত করেছেন পরিমল মজুমদার। লাইট ও সেট ডিজাইন করেছেন ফয়েজ জহির।

ষষ্ঠ বঙ্গাব্দে, যখন গৌড়, বঙ্গ বা বরেন্দ্রী সমৃদ্ধ জনপদ, সেই সময় কৈবর্তরাজ ভীম বরেন্দ্রীতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন কৈবর্ত, পুলিন্দ, নিষাদ, হালিক, জালিকদের রাজত্ব। সেখানে প্রজারাজ্য অন্ত্যজ আর তথাকথিত অচ্ছুতেরা উঠে এসেছিলেন একসারিতে। পরবর্তীতে প্রজাকুলহীতে জলাশয়, বৃক্ষাচ্ছাদিত পথ, সুসজ্জিত প্রাকার নির্মাণ করে ভীম হয়ে ওঠেন জন মানুষের নির্ভরতার প্রতীক। সভ্যতার বিচারে যা অন্য রাজাদের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ছবি: সংগৃহীত

বরেন্দ্রী অঞ্চলে একসময় নগরের উৎকর্ষতা প্রতিয়মান হতো সে অঞ্চলের বারাঙ্গনা পল্লীর সমৃদ্ধি দেখে। ৬৪ কলায় পারদর্শী বারাঙ্গনারা ছিলেন নগরের শোভা। বৌদ্ধ ধর্মজাত রাজা রামপাল আশেপাশের সব রাজন্যবর্গের সহায়তায় এবং বিপুল বাণিজ্যের চুক্তিতে কৈবর্তরাজ ভীমকে পরাজিত করেন এবং বরেন্দ্রী পুনঃদখল করেন। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভীম ও তার পরিবারের সবাইকে, যথাসম্ভব তার সকল অনুসারী ও আমর্তবর্গকেও।

বিবর্তন যশোর ঢাকা ইউনিটের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাদের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে বরেন্দ্রী অঞ্চলের ষষ্ঠ বঙ্গাব্দের এক রক্তক্ষয়ী কাহিনী তুলে আনেন মঞ্চে। 

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, মৃন্ময় চক্রবর্তী, দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য পলাশ, মনিরুল ইসলাম, সৈয়দ শাহিনুর রহমান, সজীব বিশ্বাস, শেখর ব্যানার্জী, মনোজ সমাদ্দার ও মাহামুদা মাহাসহ অনেকে।

 

Comments

The Daily Star  | English

The contradiction of comfort

How comfortable is it to not have clean air to breathe?

5h ago