গাজীপুর সাফারি পার্কে আরও ২ সাম্বার হরিণ অবমুক্ত
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ২টি মাদি সাম্বার হরিণ অবমুক্ত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
মো. তবিবুর রহমান বলেন, 'মঙ্গলবার রাতে মাদি সাম্বার হরিণ দুটি পার্কে অবমুক্ত করা হয়। আগে দুটি সাম্বার হরিণ পুরুষ হওয়ায় এবার দুটি জোড়া হয়েছে। এতে সাম্বার হরিণের বংশ বিস্তারে সম্ভাবনা তৈরি হলো।'
তিনি বলেন, 'নরসিংদীর এক ব্যক্তি ২০০৭ সালে মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে দুটি সাম্বার হরিণ ক্রয় করে তার বাগানবাড়িতে পালন করছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালের বিধিমালায় সাম্বার হরিণ লালন-পালন করার কথা উল্লেখ নেই। ঢাকার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে হরিণ ২টি উদ্ধার করা হয়। কোয়ারেন্টিনের পর মঙ্গলবার রাতে পার্কে তাদের অবমুক্ত করা হয়েছে।'
পার্কসূত্র জানায়, সাম্বার হরিণ উপমহাদেশের বৃহত্তম হরিণ। এদের উচ্চতা ১৫০ সেমি। শরীর থেকে গরমের সময় অধিকাংশ লোম ঝরে পড়ে। গায়ের রং হলুদাভ বা নীলচে আভাযুক্ত ধূসর। বয়স্ক সাম্বারের গায়ের রং কালো হতে থাকে। বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়সহ পূর্ব ফিলিপাইন পর্যন্ত সাম্বারের বিস্তৃতি। ঘন বনাঞ্চল ও ফসলি জমির কাছাকাছি পাহাড়ি এলাকায় দলবদ্ধভাবে এরা থাকতে পছন্দ করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরহরিৎ বনাঞ্চলে এদের দেখা যায়।
এরা নিশাচর এবং সূর্যের আলো ফোটার আগেই বনের ভেতর চলে যায়। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে বনের ভেতর থেকে বের হয়। নভেম্বর ও ডিসেম্বরের দিকে এদের প্রজনন ঘটে এবং গর্ভধারণকাল প্রায় ৮ মাস। এরা একবার প্রজননে একটিমাত্র শাবকের জন্ম দেয় তবে দুটিও হতে পরে।
Comments