বন্যার আগেই তিস্তায় পাউবো’র বাঁধে ধস, শঙ্কায় শতাধিক পরিবার
১০ মাস আগে সংস্কার করা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় বসতভিটা, আবাদি জমি ও স্থাপনা হারানোর শঙ্কায় শতাধিক পরিবার। বন্যা শুরুর আগেই সংস্কারকৃত বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ গ্রামে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। তারা বলছেন, গত বছর বাঁধের সংস্কার কাজ সঠিকভাবে করা হলে এত তাড়াতাড়ি ধস দেখা দিতো না।
খুনিয়াগাছ গ্রামের আসলাম মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত বছর বন্যার শেষ দিকে ৫ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত করলেও তাড়াহুড়ো করে মাত্র ৪ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে পাউবো। অবশিষ্ট ১ হাজার জিও ব্যাগ তিস্তার চরে বালুচাপা পড়ে থাকে। রাতের বেলায় নামমাত্র কাজ করে চলে যায় পাউবো। ফলে এ বছর বন্যা না আসতেই ৩০০ মিটার বাঁধটির প্রায় ৪০ মিটার ধসে গেছে। তিস্তা নদীর ভাঙন হুমকিতে পড়েছে প্রায় ১৫০ পরিবারের বসতভিটা।'
একই গ্রামের নিজাম উদ্দিন ডেইলি স্টারকে জানান, গত বছর সংস্কারকৃত বাঁধটিতে ধস দেখা দেওয়ায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। যেকোনো সময় তাদের বসতভিটা নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। বসতভিটা রক্ষায় গ্রামবাসী মিলে কিছু বস্তা সংগ্রহ করে তাতে বালু ভরে ডাম্পিং করে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছেন।
গত বছর বাঁধটির সংস্কার কাজ সঠিকভাবে করা হলে এ বছর এটি ধসে যাওয়ার মুখে পড়তো না বলে দাবি করেন তিনি।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীকে নিয়ে বাঁধটি পরিদর্শন করেছেন। বাঁধটি দ্রুত সংস্কার করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বন্যা শুরুর আগে বাঁধটি সংস্কার সম্পন্ন হবে বলে পাউবো কর্তৃপক্ষ তাকে নিশ্চিত করেছে বলেও জানান তিনি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাঁধটির ধসে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করে পুনসংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বন্যার আগেই বাঁধটি সংস্কার করে বসতভিটাসহ স্থাপনা নদীভাঙন থেকে রক্ষা করা হবে।'
তার দাবি, 'গত বছর বন্যা পরবর্তীকালে বাঁধটি সংস্কার করা হয়েছে। পানির স্রোতে নদীপাড়ের যেকোনো স্থাপনা বিলীন হতে পারে। তবে কাজে কোনো অনিয়ম ছিল না।'
Comments