শাবিপ্রবিতে পুলিশি লাঠিচার্জে আহত অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনে আইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে মুক্ত করতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ৩০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে ৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, সাউন্ড গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের নিক্ষেপ করা ঢিলে পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম আহত হয়েছেন বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে হলটির আবাসিক এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ফোনে আলাপকালে হলটির প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা খারাপ ব্যাবহার করেছেন—এমন অভিযোগে তার ও সহকারী প্রাধ্যক্ষ রাবেয়া তোড়ার পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলনে নামেন ছাত্রীরা।
শুক্রবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে উপাচার্য বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানালেও শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি মানা হয়নি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান।
ওইদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দাবি ৩টি মানার জন্য শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সময় দিয়ে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেন ছাত্রীরা।
ছাত্রীদের ৩ দফা দাবি হলো—
১. বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ কমিটির পদত্যাগ।
২. ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগ।
৩. যাবতীয় অব্যবস্থাপনা নির্মূল করে হলের সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাদের এ ৩ দফা দাবি না মানায় শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামেন। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে 'এক কিলোমিটার সড়ক' অবরোধ করেন।
৭টার দিকে অবরোধ চলাকালীন সময়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরীয় কমিটির সামনে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য তার কার্যালয় থেকে বের হয়ে ডিনদের এক সভায় যাওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়লে তার সঙ্গে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে আশ্রয় নেন। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওই ভবনের প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
Comments