ক্যাম্পাস

আলপনায় ‘মৃত্যু অথবা মুক্তি’, আলোচনায় ‘কেমন শাবিপ্রবি চাই’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনের ইতি গতকাল টানা হলেও প্রতিবাদী কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনস্থলে আঁকা হয়েছে আলপনা– ‘মৃত্যু অথবা মুক্তি’।
ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহিত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনের ইতি গতকাল টানা হলেও প্রতিবাদী কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনস্থলে আঁকা হয়েছে আলপনা– 'মৃত্যু অথবা মুক্তি'।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অরূপ বাউলের করা ডিজাইনটি রংতুলিতে আঁকা হয়েছে ক্যাম্পাসের 'এক-কিলো' রাস্তার ওপর। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদী আলপনা আঁকছেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাত ৮টায় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে 'কেমন শাবিপ্রবি চাই' শীর্ষক একটি মুক্ত আলোচনার আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। আলোচনায় শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবির বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং উপাচার্যের পদত্যাগের পর শাবিপ্রবি পুনর্গঠনে এসব সমস্যার সমাধানের দাবি জানান।

আলোচিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে হলের খাবারের সমস্যা সমাধান, হল সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সম্ভব হলে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসের বাইরের হলগুলোর ভাড়ার মধ্যে ভারসাম্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা, বছরে ৩৬৫ দিন হল খোলা রাখার ব্যবস্থা করা, হল রিডিং রুমের ব্যবস্থা, করোনার মধ্যে হলের সিট ভাড়াসহ বিবিধ সেবার ফি মওকুফ, ক্যাম্পাসে খাবারের দোকান চালু করা, হলের মসজিদের ফ্যাসিলিটি বাড়ানো এবং কেন্দ্রীয় মন্দির নির্মাণ।

ছবি: সংগৃহীত

এ ছাড়াও ব্যাংকের কাজ ডিজিটালাইজেশন, পরিবহনের রুট বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি, লাইব্রেরি খোলা রাখার সময় এবং নিজের বই নিয়ে পড়তে বসার ব্যবস্থা করা তাদের আলোচিত দাবির মধ্যে রয়েছে।

মুক্ত আলোচনায় গবেষণার খাত বৃদ্ধি, শিক্ষকদের মান যাচাইয়ের যে পদ্ধতি আগে ছিলো তা আবার চালু করা, পরীক্ষার খাতায় কিউআর কোড চালু যাতে শিক্ষকরা শিক্ষার্থী বিবেচনায় মার্কিং করতে না পারেন, ইমপ্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু করা, দ্রুত সেমিস্টার শেষ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসা, অন ক্যাম্পাস শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখা, ক্লাস রুটিনে ভোগান্তির সমাধানের বিষয়ও উঠে আসে।

ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ির অপসারণ, প্রতি তিন মাস অন্তর প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করার দাবিও মুক্ত আলোচনায় উঠে আসে।

গুগল ফর্মে 'কেমন ভিসি চাই' এবং 'কেমন প্রক্টর চাই' প্রকাশ করার কথাও জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যাতে সকল শিক্ষার্থীই তাদের মতামত উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করতে পারেন।

বিকেলে শাবিপ্রবির হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ব্যাতিক্রমী ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। ফুটবলের গায়ে 'ফরিদ' লিখে তা দিয়ে ফুটবল খেলেন শিক্ষার্থীরা।

Comments

The Daily Star  | English

The contradiction of comfort

How comfortable is it to not have clean air to breathe?

7h ago