পিএনজিকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ

লক্ষ্যটা বিশাল। ১৮২ রানের। এ লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং খুবই জরুরী ছিল পাপুয়া নিউগিনির। তবে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তার কিছুই করতে পারেনি তারা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়েছে পিএনজি।
ফাইল ছবি

লক্ষ্যটা বিশাল। ১৮২ রানের। এ লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং খুবই জরুরী ছিল পাপুয়া নিউগিনির। তবে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তার কিছুই করতে পারেনি তারা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়েছে পিএনজি।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাপুয়া নিউগিনির সংগ্রহ ১০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮ রান। জিততে হলে পরের ১০ ওভারে আরও ১৫৪ রান করতে হবে দলটিকে।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। লেগা সাইকাকে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। পরের ওভারে পিএনজি শিবিরে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। অধিনায়ক আসাদ ভালাকে ফেরান তিনি। তবে এ উইকেট তুলে নেওয়ার মূল কৃতিত্ব উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ তুলে নিয়েছেন তিনি।

পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই জোড়া ধাক্কা দেন সাকিব আল হাসান। তার প্রথম বলেই লংঅফ সীমানা দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন চার্লস আমিনি। পেছন থেকে দৌড়ে গিয়ে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ এক ক্যাচ লুফে নেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। দ্রুত তিন উইকেট হারালেও আগ্রাসন থামায়নি পিএনজি। চতুর্থ বলে স্লগসুইপ করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন সাইমন আটাই। স্কয়ারলেগে সহজেই সে ক্যাচ ধরেন শেখ মেহেদী হাসান। পরের বলে সেসে বাউকে তুলে নিতে পারতেন সাকিব। উইকেটের পেছনে ক্যাচ মিস করেন সোহান।

বাউকে পরের ওভারে বল করতে এসে ঠিকই তুলে নেন সাকিব। তার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅন সীমানায় ধরা পড়েন নাঈমের হাতে। আর পরের ওভারে নিজের প্রথম উইকেট তুলে পিএনজির লেজ বের করে আনেন শেখ মেহেদী। নরমান ভানুয়াকে লংঅনে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। 

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আগের ম্যাচে হাফসেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ নাঈম শেখকে হারায় বাংলাদেশ। তবে আরেক ওপেনার লিটন দাসকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। এরপর লিটন বিদায় নিলে মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে যথাক্রমে ২২ ও ২৯ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন এ অলরাউন্ডার।

এরপর চার্লস আমিনির অসাধারণ এক ক্যাচে সাকিব বিদায় নিলে রানের গতি বাড়ানোর কাজটা আফিফ হোসেনকে নিয়ে করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৪৩ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। এরপর শেষদিকে দারুণ এক ক্যামিও খেলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাতে বড় সংগ্রহই পায় বাংলাদেশ।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। ২৮ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন অধিনায়ক। ৩৭ বলে ৩টি ছক্কায় ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। ২৩ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ২৯ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। আফিফ করেন ২১ রান। শেষ তিন বলে ২টি ছক্কা ও একটি চারে ৬ বলে ১৯ রান করেন সাইফউদ্দিন।

Comments

The Daily Star  | English

The contradiction of comfort

How comfortable is it to not have clean air to breathe?

5h ago