রিয়াল ম্যাচ নেইমারের জ্বলে ওঠার উপযুক্ত মঞ্চ: পচেত্তিনো

পিএসজির কোচ মরিসিও পচেত্তিনো আস্থা রাখছেন তার তারকা শিষ্যের ওপর।
ছবি: টুইটার

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরে এখনও গোল পাননি নেইমার। এমন পরিসংখ্যান ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের নামের পাশে বড্ড বেমানান। তবে পিএসজির কোচ মরিসিও পচেত্তিনো আস্থা রাখছেন তার তারকা শিষ্যের ওপর। তিনি বলেছেন, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচটি নেইমারের নিজেকে মেলে ধরার উপযুক্ত মঞ্চ।

ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে রিয়ালের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পিএসজি। হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত দুইটায়। ম্যাচের ভেন্যু রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। দুই দলের আগের দেখায় নিজেদের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ১-০ গোলে জিতেছিল পিএসজি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার স্বপ্ন পূরণে ২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফিতে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে দলে টেনেছিল পিএসজি। কিন্তু তাদের চাওয়া থেকে গেছে অধরা। ফরাসি লিগ ওয়ানের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা ক্লাবটি এবারও সেই লক্ষ্য পূরণে বদ্ধ পরিকর। তবে গোলের হিসাবে তাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় নেইমারের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স মোটেও আশা জাগানিয়া নয়। চলমান মৌসুমে লিগ ওয়ানে ১৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ৪ গোল করেছেন তিনি। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্ব ও নকআউট মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে জালের দেখা পাননি একবারও।

তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সফলতম ক্লাব রিয়ালকে মোকাবিলার আগে সংবাদ সম্মেলনে পচেত্তিনো জানান, নেইমারের সামনে রয়েছে নিজের সামর্থ্য দেখানোর আদর্শ সুযোগ, 'এই ম্যাচের জন্য নেইমার মুখিয়ে আছে। বার্সেলোনা থেকে পিএসজি তাকে দলে এনেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার জন্য। আগামীকাল (বুধবার) নেইমারকে তার সামর্থ্যের সবটুকু নিংড়ে দিতে দিন। এটা তার জ্বলে ওঠার জন্য উপযুক্ত মঞ্চ।'

চলতি মৌসুমের শুরুতে বার্সা থেকে লিওনেল মেসিকে বিনা ট্রান্সফার ফিতে দলে টেনেছে পিএসজি। প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে নেইমারের অনেক সুখস্মৃতি রয়েছে বার্নাব্যুতে। বার্সায় থাকাকালে দুজনেই রিয়ালের মাঠে দারুণ সব পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন। নেইমার জানান, ঐতিহাসিক এই ভেন্যুতে খেলতে উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি, 'বার্নাব্যুতে আমার অনেক ভালো স্মৃতি রয়েছে। আমরা এখানে দারুণ কিছু ম্যাচ খেলেছি। এটি এমন একটি স্টেডিয়াম, যার বিশাল ইতিহাস আছে। এখানে খেলতে পারাটা আনন্দের।'

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

15h ago