ম্যাচ জেতায় আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছে বাংলাদেশ: নাসুম

নিজেদের সুবিধা অনুসারে মন্থর ও টার্নিং উইকেট বানিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ঘরের মাঠে একের পর এক ম্যাচ জিতছে বাংলাদেশ।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নিজেদের সুবিধা অনুসারে মন্থর ও টার্নিং উইকেট বানিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ঘরের মাঠে একের পর এক ম্যাচ জিতছে বাংলাদেশ। চলতি বছর ১৫ ম্যাচ খেলে নয়টিতে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা। নিয়মিত জেতায় আত্মবিশ্বাস সঙ্গে করে বিশ্বকাপে গিয়ে বাংলাদেশ ভালো খেলবে বলে মনে করছেন নাসুম আহমেদ।

চলতি বছর বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। গত মার্চে ওই সফরে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয় তারা। এরপর টানা তিনটি সিরিজ জিতেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। জিম্বাবুয়েকে তাদের মাটিতে ২-১ ব্যবধানে হারানো পর গত মাসে নিজেদের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো এই সংস্করণে সিরিজ জেতার স্বাদ নেয় তারা। এবার লাল-সবুজ জার্সিধারীরা টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। সেটাও ঘরের মাঠে, প্রথমবারের মতো।

বুধবার পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থটিতে ৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৬ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছোট থাকলেও মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের চেনা উইকেটে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের খেলতে হয় শেষ ওভার পর্যন্ত। নাসুম ও মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর হার না মানা ইনিংসে জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের।

আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু সেখানকার উইকেটের ধরন আলাদা। তাই টি-টোয়েন্টিতে ইতোমধ্যে নিজেদের ইতিহাসের সফলতম বছরের রেকর্ড গড়লেও বাংলাদেশের প্রস্তুতি যথার্থ হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন।

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ১০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা বাঁহাতি স্পিনার নাসুম অবশ্য বলছেন, বিশ্বকাপের আগে পাওয়া এই জয়গুলো আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে তাদের, 'প্রস্তুতি বলতে সবচেয়ে বড় কথা আমরা ম্যাচ জিতছি। আর ম্যাচ জিতলে এমনিতেই আত্মবিশ্বাস উঁচুতে থাকে। তো আমরা ম্যাচ জিতে যাচ্ছি বিশ্বকাপে। অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস উঁচুতে থাকবে। আর আমরা অনেক ভালো করব আমার বিশ্বাস।'

নিউজিল্যান্ড সফরে অভিষিক্ত হওয়া নাসুম বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি একাদশের নিয়মিত মুখে পরিণত হয়েছেন। ইনিংসের শুরুতে নতুন বলে তিনি রাখছেন কার্যকর ভূমিকা। এর পেছনে সিনিয়র সতীর্থদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন তিনি, 'আসলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েছি কিনা জানি না। তবে দল থেকে অনেক সমর্থন পাচ্ছি। বিশেষ করে, অধিনায়ক ও অভিজ্ঞরা আমাকে অনেক সমর্থন করছেন। আর এতে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka’s Toxic Air: High levels of cancer-causing elements found

The concentration of cancer-causing arsenic, lead and cadmium in Dhaka air is almost double the permissible limit set by the World Health Organization, a new study has found.

57m ago