স্টার্লিং বললেন, ‘এটা পরিষ্কার পেনাল্টি’

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের ঘটনা। ১০৪ মিনিটের মাথায় ডান দিক দিয়ে পায়ের কারিকুরিতে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন স্টার্লিং। তাকে ঠেকাতে গিয়ে ডেনমার্কের জোয়াকিম পা বাড়ালে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান তিনি।

৫৫ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর বড় কোন আসরের ফাইনালে উঠেও প্রশ্ন পিছু ছাড়ছে না ইংল্যান্ডকে। অতিরিক্ত সময়ে তাদের জয়সূচক পেনাল্টি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। আদতে  এটি পেনাল্টি ছিল কিনা তা নিয়ে চলছে মাতামাতি। তবে পেনাল্টি আদায় করে ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড রাহিম স্টার্লিং বলছেন তার কাছ এটি পরিষ্কার পেনাল্টি।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের ঘটনা। ১০৪ মিনিটের মাথায় ডান দিক দিয়ে পায়ের কারিকুরিতে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন স্টার্লিং। তাকে ঠেকাতে গিয়ে ডেনমার্কের জোয়াকিম পা বাড়ালে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান তিনি।

রেফারির দ্রতই বাজান পেনাল্টির বাঁশি। আপত্তি জানায় ডেনমার্ক। ভিএআর অফিসিয়ালের মাধ্যমে পরে পরীক্ষা করেও সিদ্ধান্ত বদল হয়নি। যদিও বারবার রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে জোয়াকিমের সঙ্গে বলার মতো কোন সংঘর্ষ ঘটেনি স্টার্লিংয়ের।

এই পেনাল্টি থেকে হ্যারি কেইনের শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ডেনিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেল। কিন্তু ফিরতি শটে ইংল্যান্ডকে উল্লাসে মাতান কেইন।

ম্যাচ শেষে স্টার্লিংকেও প্রশ্নের মধ্যে পড়তে হয়েছে এই পেনাল্টি নিয়ে। আইটিভিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এই তারকা বলেন পেনাল্টি নিয়ে সংশয়ের জায়গা নেই,  ‘আমি বক্সে ঢুকে পড়েছিলাম এবং সে আমাকে ডান পা দিয়ে স্পর্শ করেছে সুতরাং এটি পরিষ্কার পেনাল্টি।’

এই পেনাল্টি আদায় ছাড়াও পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডের আক্রমণে বড় ভূমিকা ছিল তার। নিজের পারফরম্যান্সেও তৃপ্ত তিনি, ‘এটা আমার সেরা পারফরম্যান্স। টুর্নামেন্টে প্রথম গোল খাওয়ার পর আমরা ফিরতে মরিয়া ছিলাম। আমরা দ্রুত সংঘবদ্ধ হয়েছি। এবং দেখিয়েছি টিম স্পিরিট নিয়ে ফেরা যায়।’

খেলার ৩০ মিনিটে দামসগার্ডের দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে এগিয়ে গিয়েছিল ডেনমার্ক। ৮ মিনিট পরই চলে আসে সমতায়। স্টার্লিং জানালেন পিছিয়ে গেলেও বিশ্বাস বুকে ছিল তাদের,  ‘এটা কঠিন সময় ছিল। কিন্তু আমরা জানতাম আমাদের যে দল আছে, যে আক্রমণ আছে, যে শক্তি আছে তাতে ফিরতে পারব।’

ইউরোতে প্রথম এবং বড় কোন আসরে ৫৫ বছর পর মাত্র দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠার আনন্দে ভাসছে গোটা ইংল্যান্ড। স্টার্লিং জানালেন তাদের ফুটবলারদের উল্লাস আপাতত শেষ, ১১ জুলাই ইতালির বিপক্ষে মহারণ নিয়েই যত মনোযোগ,  ‘আমরা ড্রেসিং রুমে ফেরার পর সব সমাপ্ত হয়ে গেছে। এখন পরের ম্যাচ নিয়ে ফোকাস আছিল। ধাপে ধাপে এগুচ্ছি।’ 

Comments