সানজামুলের লড়াই ছাপিয়ে চট্টগ্রামকে জেতালেন ইয়াসির

দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচের চতুর্থ ও শেষদিনে ৪ উইকেটে জিতেছে চট্টগ্রাম।

প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো ইয়াসির আলী চৌধুরী দ্বিতীয় ইনিংসেও করলেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। তার নৈপুণ্যে রাজশাহী বিভাগের বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলামের লড়াই ছাপিয়ে জয় দিয়ে জাতীয় লিগ (এনসিএল) শুরু করল চট্টগ্রাম বিভাগ।

বুধবার ঘরের মাঠে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচের চতুর্থ ও শেষদিনে ৪ উইকেটে জিতেছে চট্টগ্রাম। আগের দিনের ২ উইকেটে ১৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে প্রথম সেশনেই ৭৭ রানের লক্ষ্য পূরণ করে ফেলে তারা।

হাতে ৮ উইকেট নিয়ে জয়ের জন্য এদিন চট্টগ্রামের দরকার ছিল আর ৬২ রান। কিন্তু সানজামুলের ছোবলে সেই পথ পাড়ি দেওয়া রীতিমতো অসম্ভব হয়ে উঠেছিল তাদের। এক পর্যায়ে ৩৮ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল তারা। এরপর ইয়াসির টেনে দলকে। জয় ছিনিয়ে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ৩৯ বলের ইনিংসে ছিল সমান দুটি করে চার ও ছক্কা।

প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া সানজামুল দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নেন ৪২ রানে। কিন্তু তাকে কাঙ্ক্ষিত সঙ্গ দিতে পারেননি তাইজুল ইসলাম। তাই ম্যাচসেরা ইয়াসিরের গড়ে দেওয়া ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রাজশাহীকে।

চতুর্থ ও শেষদিনে গড়ানো বাকি দুটি ম্যাচে হয়েছে পয়েন্ট ভাগাভাগি। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে রংপুর বিভাগ ৮ উইকেটে ২৬৬ রান তোলে। এরপর ড্র মেনে নেয় দুই দল। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রংপুরের জাহিদ জাভেদ খেলেন ১০১ রানের ইনিংস। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট নেওয়া খুলনার স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৯ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। এর আগে প্রথম ইনিংসে রংপুরের ২৫৭ রানের জবাবে খুলনা করেছিল ২৬০ রান।

কক্সবাজারে ঢাকা মেট্রো ও বরিশাল বিভাগের ম্যাচে এদিন একটি বলও গড়ায়নি মাঠ ভেজা থাকায়। দ্বিতীয় দিনও ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টির কারণে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই ড্র দেখেছে ম্যাচটি।

Comments

The Daily Star  | English

The contradiction of comfort

How comfortable is it to not have clean air to breathe?

5h ago