ক্রিকেট থেকে বিরতিতে যাওয়ার পরামর্শে আগ্রহী কোহলি
মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে এবং সাম্প্রতিক সময়ের বাজে ফর্ম থেকে বেরোতে ক্রিকেট থেকে বিরতিতে যাওয়ার পরামর্শে আগ্রহ দেখিয়েছেন বিরাট কোহলি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, নিজের জীবনের 'সবচেয়ে সুখী সময়' পার করছেন। রানে ফিরতে সংগ্রাম করে চললেও ভারতের সাবেক অধিনায়কের দৃষ্টিতে, তিনি 'ভালো ব্যাটিং' দেখিয়ে যাচ্ছেন। আগামী এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাকে ২০২২ সালের জন্য প্রধান লক্ষ্য হিসেবেও স্থির করেছেন তিনি।
সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ৩৩ বছর বয়সী কোহলি সবশেষ ২০১৯ সালের নভেম্বরে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএলে) তার গড় ১৯.৬৭, যা ২০০৮ সালের পর থেকে এই প্রতিযোগিতায় তার সর্বনিম্ন। ওই আসরে ব্যাট হাতে তার গড় ছিল কেবল ১৫। এই মৌসুমে কোহলির স্ট্রাইক রেটও মাত্র ১১৩.৪৬। এটি তার সামগ্রিক আইপিএল স্ট্রাইক রেটের (১২৯.২৬) চেয়ে অনেক কম। এর আগে ২০১২ সালে ১১১.৬৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছিলেন তিনি।
কোহলির রানখরা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে সরব হয়েছেন। তবে ভারতের সাবেক প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রীই প্রথম তাকে দিয়েছিলেন বিরতিতে যাওয়ার উপদেশ। কোহলির টানা ক্রিকেট খেলার দিকে ইঙ্গিত করে রূপক ব্যবহার করে শাস্ত্রী বলেছিলেন, তাকে 'অতিরিক্ত রান্না করা' হয়েছে।
শাস্ত্রীর বক্তব্য শুনেছেন কোহলি এবং তাতে একমতও হয়েছেন। তার কাছে বিরতিতে যাওয়াকে একটি 'স্বাস্থ্যকর' বিকল্প মনে হচ্ছে। কারণ, অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে এক দশকের বেশি সময় ক্রিকেট মাঠেই ঘুরপাক খাচ্ছেন তিনি। ডানহাতি ব্যাটার কোহলি জানিয়েছেন, ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়সহ টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে 'অবশ্যই আলোচনা' করবেন।
স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেছেন, 'খুব বেশি লোক নেই যারা এটা বলেছে (ক্রিকেট থেকে বিরতি নেওয়ার পরামর্শ)। একজন ব্যক্তিই সঠিকভাবে এটা উল্লেখ করেছেন। তিনি হলেন রবি ভাই। কারণ, আমি যে পরিস্থিতির মধ্যে আছি, সেটার বাস্তবতা গত ছয়-সাত বছর ধরে তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। আমি প্রচুর পরিমাণ ক্রিকেট খেলেছি, উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি এবং তিন সংস্করণে খেলার কারণে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি ১০-১১ বছর ধরে বিরতিহীনভাবে আইপিএল খেলা এবং মাঝে সাত বছর অধিনায়কত্ব করার ব্যাপারটিও রয়েছে।'
সময়ের অন্যতম সেরা তারকা যোগ করেছেন, 'এটি (ক্রিকেট থেকে বিরতি) অবশ্যই এমন একটা জিনিস, যা বিবেচনা করা দরকার। কারণ, আপনি এমন কিছু করতে চাইবেন না যেটার শতভাগ অংশ নন। আমি সবসময় আমার জীবনে এটি বিশ্বাস করি। সুতরাং বিরতি নেওয়া এবং কখন তা নিতে হবে সে বিষয়ে আমাকে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। কিছু সময়ের জন্য বিরতি নেওয়া এবং নিজেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে পুনরুজ্জীবিত করা একটা স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত।'
Comments