‘নো’ বল দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে যেভাবে ছড়িয়েছিল উত্তাপ

শেষ ওভারে দ্বিতীয় বলে ‘নো’ দেওয়া- না দেওয়া নিয়ে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচ প্রায় ভেস্তেই যেতে বসেছিল। তর্কে জড়িয়ে ম্যাচ বয়কট করার পর্যায়ে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। উত্তেজিত সাকিব আল হাসানকে শান্ত করে পরিস্থিতি সামলান ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। পরে বাংলাদেশ পায় রোমাঞ্চকর জয়। মূলত আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলেই তৈরি হয় এমন পরিস্থিতি।
পানি নিয়ে মাঠে ঢুকে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সাইড বেঞ্চের খেলোয়ার নুরুল হাসান সোহানও। ছবি: এএফপি

শেষ ওভারে দ্বিতীয় বলে ‘নো’ দেওয়া- না দেওয়া নিয়ে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচ প্রায় ভেস্তেই যেতে বসেছিল। তর্কে জড়িয়ে ম্যাচ বয়কট করার পর্যায়ে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। উত্তেজিত সাকিব আল হাসানকে শান্ত করে পরিস্থিতি সামলান ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। পরে বাংলাদেশ পায় রোমাঞ্চকর জয়। মূলত আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলেই তৈরি হয় এমন পরিস্থিতি।

এর আগে কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এত বিতর্ক আর উত্তাপ ছড়িয়ে শেষ হয়নি। আলোচিত সেই ডেলিভারি নিয়ে দুদলের আছে দুই মত। 

শেষ ওভারে দরকার ১২ রান। নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মোস্তাফিজুর রহমানকে পেয়ে ইশুরু উদানা কাঁধের উপর বাউন্সার মারলেন। পরাস্ত হলেন মোস্তাফিজুর। রান হলো না। পরের বলে আবার একই রকম বাউন্সার। এবার উইকেটকিপারের হাতে বল রেখে দৌড় দিয়ে স্ট্রাইকিং প্রান্তে পৌঁছালেন মাহমুদউল্লাহ। উলটো দিকে পৌঁছাতে না পেরে রান আউট মোস্তাফিজ।

টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে কাঁধের উপর দুই বাউন্সার দিলে ‘নো’ হয়। মাহমুদউল্লাহ তাই নো বলের আবেদন করলেন লেগ আম্পায়ারের কাছে।   লেগ আম্পায়ার সাড়া দিয়ে ডাকলেন ‘নো’ বল। তখন আবার প্রতিবাদে হইহই করে উঠল শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়রা। তাদের দাবির মুখে মূল আম্পায়ার ‘নো’ বলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। তখন তর্কে জড়ান মাহমুদউল্লাহ। বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পানি নিয়ে ঢুকা বাংলাদেশের সাইড বেঞ্চের খেলোয়াড় নুরুল হাসান সোহান তর্কে জড়ান থিসারা পেরেরা আর কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে।

পরিস্থিতি তখন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছিল। ভরপুর গ্যালারিতেও বাড়ছিল উত্তেজনার চাপ। এক পর্যায়ে ম্যাচ ছেড়ে দিয়ে ব্যাটসম্যানদের বেরিয়ে আসার নির্দেশনা দেন রাগান্বিত সাকিব। দুই ব্যাটসম্যান বেরিয়েও আসতে যাচ্ছিলেন। শেষে দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সামাল দেন পরিস্থিতি। সাকিবকে থামিয়ে ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ম্যাচ বয়কট করলে বাংলাদেশের কপালে জুটত পরাজয়, এমনকি এমন ঘটনা ঘটালে দলগত কড়া শাস্তিও পেতে পারত বাংলাদেশ।

খেলা চালু হওয়ার পর ওই নো বল আর পায়নি বাংলাদেশ। যদিও পরের তিন বলে ৪,২ আর ৬ মেরে দলকে রোমাঞ্চকর জয় পাইয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ।

ওই সময়ের পরিস্থিতি ব্যাখ্যায় সাকিব বলেন, ‘'যেটা হয়েছে যে স্কয়ার লেগ আম্পায়ার ওটা নো বল ডেকেছিল, এর পর তারা আলোচনা করে ওটা বাতিল করেছেন, যেটা আমার কাছে মনে হয়নি সঠিক সিদ্ধান্ত।’

আম্পায়াররা কেন সিদ্ধান্ত বদলালেন, তারাই বলতে পারবেন। ম্যাচের পর আর ওটা নিয়ে কথা বলতে চাইনি।'

Comments