কলকাতায় জানালেন এবিএম ফজলে করিম

ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে বুলেট ট্রেন, সময় লাগবে ২ ঘণ্টা!

ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে বুলেট রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হবে। সময় লাগলেও বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আনার পরিকল্পনা নিয়েছে বর্তমান সরকার। কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
ABM Fazle Karim
আচার্য দীনেশ চন্দ্র সেন জন্মসার্ধশত বর্ষ উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর হাতে। গত ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতা প্রেসক্লাব এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ছবি: স্টার

ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে বুলেট রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হবে। সময় লাগলেও বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আনার পরিকল্পনা নিয়েছে বর্তমান সরকার। কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, রেলকে পৃথক মন্ত্রণালয় করার পরই রেলে একটি গতি এসেছে। সময় লাগলেও আগামীতে রেল যোগাযোগ বাড়ানো এবং সার্বিক গতি আনারও পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে হাইস্পিড রেল চালু করার কথাও জানান চট্টগ্রামের রাউজানের সাংসদ।

তাঁর মতে, “ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম যেখানেই যাত্রীরা উঠবেন মাত্র দুই ঘণ্টায় তাঁরা পৌঁছে যাবেন দুই শহরে। এটিকে বুলেট ট্রেনও বলতে পারেন”। তবে কবে নাগাদ এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি সময় নির্ধারণ করেননি।

কলকাতায় আচার্য দীনেশ চন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটির সাম্মানিক স্বর্ণপদক গ্রহণ করতে ৭ সেপ্টেম্বর ওই সাংসদ কলকাতায় পৌঁছান। সেদিনই সন্ধ্যায় কলকাতার প্রেসক্লাবের সাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আচার্য দীনেশ চন্দ্র সেন জন্মসার্ধশত বর্ষ উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে স্বর্ণপদক তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে তিনি ছাড়াও কলকাতার স্থানীয় আমন্ত্রিত অতিথি এবং চট্টগ্রাম থেকে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারের প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দূরদর্শনের প্রাক্তন কর্মকর্তা অরুণাভ রায়।

অনুষ্ঠান শেষে কলকাতায় বাংলাদেশি মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হোন এবিএম ফজলে করিম। এ সময় তিনি চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সমস্যার সমাধানে সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি খুলনা-কলকাতার মধ্যে দ্বিতীয় মৈত্রী ট্রেনটিও খুব শিগগিরই চালু হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রসঙ্গত, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে কলকাতা-খুলনার মধ্যে যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত তা চালু হয়নি। ভারতীয় রেল থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের রেল থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ায় আজও চালু করতে পারছে না প্রত্যাশিত এই রুটের যাত্রীবাহী ট্রেন।

Comments