বায়ান্নতে সঞ্জীব-স্মরণ
ছবি: সংগৃহীত
বেঁচে থাকলে আজ বায়ান্ন বছরে পা রাখতেন সঞ্জীব চৌধুরী। লিখতেন আরও কিছু কালজয়ী গান-কবিতা। সুর সাজাতেন কোন এক নতুন গানের কথায়। বেঁচে থাকলে আরও অনেক আড্ডা হতো বন্ধুদের সঙ্গে।
জন্মদিনে আজ তাঁকে স্মরণ করবেন ভক্তরা। টিএসসিতে অনুষ্ঠিত হবে ৫ম ‘সঞ্জীব উৎসব’। অংশ নেবেন বাপ্পা মজুমদার ও সঞ্জীব চৌধুরীর অনুরাগী বেশকিছু ব্যান্ড ও শিল্পী। সকলের জন্য উন্মুক্ত এই উৎসব বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
সঞ্জীব চৌধুরী ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্ম নেন। তাঁর পিতা গোপাল চৌধুরী এবং মা প্রভাষিণী চৌধুরী। নয় ভাই বোনের মধ্যে সঞ্জীব ছিলেন সপ্তম।
বাপ্পা মজুমদারকে নিয়ে ‘দলছুট’ ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন সঞ্জীব চৌধুরী। সেই সঙ্গে ‘আজকের কাগজ’, ‘ভোরের কাগজ’ ও ‘যায় যায় দিন’-এ সাংবাদিকতাও করেছেন। পত্রিকার ফিচার পাতার নতুন দিনের সূচনায় তাঁর অবদান রয়েছে।
‘দলছুটের’ চারটি অ্যালবামে কাজ করার পাশাপাশি অনেক গান লেখা ও সুর রচনা করেছেন তিনি। ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’, ‘হাতের উপর হাতে পরশ রবে না‘, ‘আমি ফিরে পেতে চাই’, ‘হাওয়ারে তুই বাজা নূপুর’, ‘নোঙরের গল্প’, ‘খোলা আকাশ’, ‘সবুজ যখন’ ও ‘চোখটা এত পোড়ায় কেন’সহ অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন, সুর করেছেন ও কণ্ঠে ধারণ করেছেন।
১৯ নভেম্বর ২০০৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন সঞ্জীব চৌধুরী।