খেলা

সিলেটে বাংলাদেশের প্রথমের আমেজে প্রাপ্তির আশাও

রোববার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্থানীয় সংগঠকদের উদ্যোগ থাকছে বিশেষ আয়োজন। টস হবে বিশেষ কয়েনে। দুদলকে দেওয়া হবে সংবর্ধনা।
বাংলাদেশ দল
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আন্তর্জাতিক অভিষেক তো বটেই, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রীতিমতো বিশ্বকাপের ম্যাচও হয়েছে। তবে তারপরও কোন আমেজ লাগেনি এর গায়ে। কারণ এখনো যে এখানে খেলেনি  বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের খেলা হয়েছিল। খেলেছিল জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের মতো পুচকে দল। তাতে কি আর খায়েস মেটে? ছয়টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হওয়ার পরও এবার তাই যেন প্রথম ম্যাচেরই আমেজ।

রোববার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্থানীয় সংগঠকদের উদ্যোগ থাকছে বিশেষ আয়োজন। টস হবে বিশেষ কয়েনে। দুদলকে দেওয়া হবে সংবর্ধনা।

শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে এবারের সিরিজে কোন কিছুই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। মাঠের বাইরের ইস্যু হয়ে যাচ্ছে বড়। মাঠের ক্রিকেটে মিলছে না তেতে উঠার বারুদ। হানা দিচ্ছে একের পর এক ইনজুরি। ওয়ানডে টুর্নামেন্ট, টেস্ট সিরিজ হারার পর মিরপুরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও হার। শেষটা এসে কিছু একটা পেতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুউল্লাহর কণ্ঠে,

‘টেস্ট সিরিজ ও ওয়ানডে সিরিজে আমরা আশাবাদী ছিলাম, আশানুরূপ ফল পাইনি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচটা ব্যাটসম্যানরা ভালো পারফর্ম করেছে, কিন্তু বোলাররা হয়তো পরিকল্পনা ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কিন্তু এখনও একটা ম্যাচ আছে। সেটিতে গর্ব নিয়ে নামার মানসিকতা এখনও আছে আমাদের। আমরা সেটার জন্য খেলব। ওটাই আমরা চিন্তা করছি।’

সব হারিয়ে বাংলাদেশ যেন কিছু একটা পাওয়ার চেষ্টায়। সে হোক সান্ত্বনা পুরষ্কার। তাতেও যেন চলবে, ‘আমরা নিজেদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করছি যেন সিরিজটা জিততে না পারি, অন্তত ড্র করতে পারি। এটাই লক্ষ্য। প্রত্যেকটা ম্যাচই আমরা খেলেছি জেতার জন্য। চেষ্টা থাকবে এটাই, যেন নিজেরাই অনুপ্রাণিত হয়ে ভালো একটা ফল নিয়ে শেষ করতে পারি।’

বাংলাদেশের পক্ষে এই সিরিজ আর জেতা সম্ভব না। সিলেটের ম্যাচটা জিতলে অন্তত বাঁচানো যাবে সিরিজ হার। শ্রীলঙ্কাকে তিনে দিন দান মারা থেকে আটকাতে পারাই এখ মাহমুদউল্লাহদের ঘুরে দাঁড়ানোর মতো,

‘ঘুরে দাঁড়ানোর একটা তাগিদ সবার মাথায় কাজ করছে। আশা করি, আমরা মাঠে কিছু একটা করে দেখাতে পারব। যেটা আমি আগেই বললাম যে, নিজেরা অনুপ্রাণিত হওয়া, বাংলাদেশ দলকে কিছু দেওয়ার জন্য বাড়তি কিছু করা।’

তবে বাংলাদেশ চাইলেই তো সব হবে না। শ্রীলঙ্কা কি শেষ ম্যাচটা এমনি এমনি খেলবে নাকি? কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যেন সেই সুরেই বললেন, ‘অবশ্যই আমরা চাইব ২-০তে জিততে। আমরা কোনো ম্যাচেই হারার জন্য নামি না, ম্যাচ জিততেই এখানে এসেছি। এই সফরে ভালো করেছি। শেষটাও জয় দিয়ে করতে পারলে দারুণ হবে।’

দুদলের দুই ভিন্ন হিসাব নিকাশের শেষ ম্যাচ শুরু হবে রোববার বিকেল ৫টায়।

Comments

The Daily Star  | English

Cuet students suspend protests

Say authorities assured them of meeting their major demands

4h ago