নাহিদ হত্যা: আরও ১ শিক্ষার্থী ২ দোকান কর্মচারী গ্রেপ্তার
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সম্প্রতি শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের মধ্যে ১ জন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান সিয়াম এবং দোকান কর্মচারী মোয়াজ্জেম হোসেন সজীব ও মেহেদী হাসান বাপ্পি।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষে ২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত একজন ও সংঘর্ষের সূত্রপাতকারী ২ জনসহ মোট ৩ জনকে র্যাব কক্সবাজার ও শরীয়তপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সজীব (২৩) ও মেহেদী হাসান বাপ্পি (২১) নিউমার্কেটের 'ওয়েলকাম ফাস্টফুড' নামের খাবারের দোকানের কর্মচারী এবং মাহমুদুল হাসান সিয়াম ঢাকা কলেজের স্নাতক ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তাদের মধ্যে মাহমুদুল সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ডেলিভারিম্যান নাহিদকে রড দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় নাহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদ মারা যান।
অপরদিকে দোকান কর্মচারী মোয়াজ্জেম হোসেন সজীব ও মেহেদী হাসান বাপ্পির মধ্যে ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাগবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করেই ঢাকা কলেজের ওই রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত হবে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
খন্দকার আল মঈন বলেন, 'জিজ্ঞাসাবাদে তারা (সজীব ও বাপ্পি) জানায়, নিউমার্কেটের ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুড এবং ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারীদের মধ্যে গত ১৮ এপ্রিল ইফতার বিক্রির টেবিল বসানো নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তারা পরিচিত কিছু দুষ্কৃতিকারীকে ডেকে আনলে তারা রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুডের কর্মচারীদের মারধর করে। এ সময় অন্য দোকানের কর্মচারীরা আক্রমন প্রতিহতের চেষ্টা চালায়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। পরবর্তীতে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে।'
মঈন জানান, ঘটনার পর সজীব ও বাপ্পি কক্সবাজারে আত্মগোপন করেন। পরিচয় লুকানোর জন্য তারা নিজেদের লম্বা চুল কেটে ফেলেন ও সেখানকার আবাসিক হোটেলে চাকরি নেওয়ার চেষ্টা চালান।
এদিকে শরীয়তপুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মো. মাহমুদুল হাসান সিয়াম সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, 'সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিয়াম সংঘর্ষের এক পর্যায়ে নাহিদকে (সংঘর্ষে নিহত ডেলিভারিম্যান) দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ঘটনার পর সিয়াম গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।'
এর আগে গত ২২ এপ্রিল সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর, গত ২৮ এপ্রিল সংঘর্ষে নাহিদ মিয়াকে হত্যার অভিযোগে ঢাকা কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ুমসহ কলেজের ৫ শিক্ষার্থীকে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
Comments