স্বাধীনতাকে সব আঘাত থেকে রক্ষা করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনাদের পূর্বসূরীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সব আঘাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
pm.jpg
ছবি: সংগৃহীত

গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনাদের পূর্বসূরীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সব আঘাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

আজ রোববার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে 'পুলিশ সপ্তাহ ২০২২' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন জাতির পিতার দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে বিজয়, যা আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আপনাদের পূর্বসূরীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সব আঘাত থেকে রক্ষা করতে হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাজারবাগে প্রথম পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন, 'এই রাজারবাগে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের কথা মনে রাখতে হবে। তারা আপনাদেরই ভাই। তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।' আমার বিশ্বাস, জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে প্রত্যেক পুলিশ সদস্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।

পুলিশের জন্য বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয় লাভ করে ২০০৯-এ সরকার গঠন করি। তখন থেকে এ পর্যন্ত আমরা পুলিশের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। বেতন-ভাতা সব কিছু যেমন বৃদ্ধি করেছি, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে মোট ৮২ হাজার ৫৮৩টি নতুন পদ সৃজন করেছি। এ ছাড়া, পুলিশের জন্য নতুন ইউনিট যেমন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই), অ্যান্টি টেরোরিজম, কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এবং রংপুর ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট, রংপুরে সাইবার পুলিশ গঠন করেছি। আমরা দুটি সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশান ব্যাটালিয়ন এয়ারপোর্টে একটি ও কক্সবাজারে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র‌্যাবের জন্য ৩টি ব্যাটালিয়ন, ৩০০টি ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, ৬২টি থানা, ৯৫টি তদন্ত কেন্দ্র, একটি ফাঁড়ি ও জাতীয় জরুরি সেবায় ৯৯৯ ইউনিট গঠন করেছি।

দেশে এবং বিদেশে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে সুনাম অর্জন এবং করোনা মহামারির সময় বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় প্রধানমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, বিএনপি সব সময় ধ্বংসাত্মক কাজ করে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাস, গাছ কেটে ফেলা, রাস্তা কেটে ফেলা—নানা ধরনের কাজ তারা করেছে এমনকি পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। পুলিশ সদস্যদের তারা যেমন নির্মমভাবে মেরেছে সেটা সত্যিই ভাষায় বর্ণনা যায় না। এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করে তারা দেশে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কত মানুষকে যে তারা হত্যা করেছে তার কোনো সীমা নেই। সে সময় পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে মানুষের জীবনে শান্তি-নিরাপত্তা নিয়ে এসেছে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। সে জন্য সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাদেশ এত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও এক দিকে অর্থনৈতিক মন্দা তার ওপর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাব। তারপরও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ—বলেন প্রধানমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Trial of murder case drags on

Even 11 years after the Rana Plaza collapse in Savar, the trial of two cases filed over the incident did not reach any verdict, causing frustration among the victims.

9h ago