আগামী ২ সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনা সতর্কতায় আগামী সপ্তাহ থেকে পরবর্তী ২ সপ্তাহের জন্য সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ব্রিফ করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

করোনা সতর্কতায় আগামী ২ সপ্তাহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ মহামারির বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, 'সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল দিয়ে চলবে। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শিগগির তা কার্যকর করা হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বাণিজ্য মেলা, বইমেলা, স্টেডিয়ামে টিকা ও করোনা টেস্টের সনদ নিয়ে যেতে হবে। সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি যেতে পারবে না এবং তাদেরও টিকার সনদ থাকতে হবে।'

২ সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কিংবা বন্ধ রাখার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাবিরুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। 

এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অবশ্যই টিকা সনদ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমূহে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবেন। 

বাজার, শপিংমল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরনের সমাবেশে অবশই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটর করবে। 

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলে দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

3h ago