এসকেএফ বাংলাদেশে নিয়ে এলো ইউএস-এফডিএ অনুমোদিত করোনার খাওয়ার ওষুধ

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড করোনা চিকিৎসায় খাওয়ার ওষুধ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। এটি নিরম্যাট্রেলভিরের বিশ্বের প্রথম জেনেরিক ভার্সন যা রিটোনাভির সঙ্গে মিলিয়ে ‘প্যাক্সোভির’ নামে বাজারজাত করা হবে।
এসকায়েফের ‘প্যাক্সোভির’ ওষুধ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের করোনা চিকিৎসায় খাওয়ার ওষুধ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। এটি নিরম্যাট্রেলভিরের বিশ্বের প্রথম জেনেরিক ভার্সন যা রিটোনাভির সঙ্গে মিলিয়ে 'প্যাক্সোভির' নামে বাজারজাত করা হবে।

ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

করোনা চিকিৎসায় নিরম্যাট্রেলভির ও রিটোনাভির ট্যাবলেট জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ১২ বছর বয়সী শিশুরাও এই ওষুধ সেবন করতে পারবে।

ইউকে এমএইচআরএ, অস্ট্রেলিয়া টিজিএ এবং ইউ জিএমপি অনুমোদিত অত্যাধুনিক সুবিধায় এই ওষুধ উৎপাদন করবে এসকেএফ। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে এই ওষুধ উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সিমিন রহমান বলেন, 'পুরো পৃথিবী যখন করোনা প্রতিরোধে সফল এই খাওয়ার ট্যাবলেটের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, তখন আমরা বিশ্বের প্রথম জেনেরিক নিরম্যাট্রেলভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ হিসেবে প্যাক্সোভির বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের মানুষের জন্য নিয়ে আসতে পেরে আনন্দিত।'

তিনি আরও বলেন, 'করোনার প্রতিরোধে "মানবতার সেবা" আমাদের মূল লক্ষ্য। এই নতুন ওষুধ করোনা প্রতিরোধে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।'

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কোভিড-১৯ পজিটিভ প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু, যাদের বয়স কমপক্ষে ১২ বছর ও ওজন অন্তত ৪০ কেজি, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যাক্সোভির দেওয়া যাবে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২ হাজার ২০০ জনের ওপর ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ফলাফলে দেখা গেছে, নিরম্যাট্রেলভির ও রিটোনাভির হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ কমিয়েছে।

বিশ্বের প্রথম জেনেরিক রেমডেসিভির ব্র্যান্ড 'রেমিভির' এর ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করে এসকেএফ। এই ওষুধটিও ইউএস এফডিএ অনুমোদনের পরপরই বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছিল।

এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড মরহুম লতিফুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ট্রান্সকম গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। গত ৩১ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ওষুধ তৈরি এবং বিশ্বের ৬৫টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে এসকেএফ।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Reference Institute for Chemical Measurements (BRiCM) developed a dengue rapid antigen kit

Diagnose dengue with ease at home

People who suspect that they have dengue may soon breathe a little easier as they will not have to take on the hassle of a hospital visit to confirm or dispel the fear.

9h ago