ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

হারলেই সেমি-ফাইনালে ওঠার সমীকরণটা কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের। শেষ তিনটি ম্যাচে জয়ের সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকেও। তবে ভাগ্যটা নিজেদের হাতে রাখতে হলে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের। সে লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ।

হারলেই সেমি-ফাইনালে ওঠার সমীকরণটা কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের। শেষ তিনটি ম্যাচে জয়ের সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকেও। তবে ভাগ্যটা নিজেদের হাতে রাখতে হলে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের। সে লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ।

বুধবার আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পুঁজিটা ছোট হতে পারতো আরও। ব্যাটারদের ব্যর্থতার ভিড়ে শেষ দিকে লেজের ব্যাটার নাসুম আহমেদের দারুণ এক ক্যামিওতে পুঁজিটা বলার মতো হয় টাইগারদের। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ২৬ রানের জুটি গড়েন নাসুম। 

এদিন ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। যদিও প্রথম ওভারেই চড়াও হয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু পরের ওভারেই শেষ তাদের আগ্রাসী ব্যাটিং। তৃতীয় ওভারেই টাইগার শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন মইন আলী। সে ধাক্কার চাপ পুরো ম্যাচেও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লেতেও আসে এবারের আসরে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। এর আগে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বনিম্ন ২৫ রান করেছিল টাইগাররা। এরপর ওমানের বিপক্ষে করেছিল ২৯ রান। তবে পরের দুই ম্যাচে পেয়েছিল চল্লিশোর্ধ্ব রান। পিএনজির বিপক্ষে ৪৫ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১ রান তুলেছিল দলটি। ৯.১ ওভারে ফিফটি তুলে নেওয়া দলটির শতরানে পৌঁছাতে ১৭.৩ ওভার খেলতে লাগে।

তবে চতুর্থ উইকেটে আগের ম্যাচের হাফসেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৩৭ রানের জুটি গড়েছিলেন এ দুই ব্যাটার। তবে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন মুশফিক। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। অষ্টম উইকেটে নাসুম-সোহানের জুটি ছাড়া কোনো বলার মতো জুটি গড়ে ওঠেনি।

অথচ ইনিংসের প্রথম ওভারে ডাউন দ্য উইকেট গিয়ে দারুণ দুটি শটে বাউন্ডারি আদায় করে নেওয়া লিটন (৯) এদিন ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে। পরের ওভারেই আউট হয়েছেন টপ এজ হয়ে। মইন আলীর বলে সুইপ করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন এ ওপেনার।

সে ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে বাংলাদেশের চাপ আরও বাড়িয়ে দেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ (৯)। পরের বলে দুর্বল শটে ক্যাচ তুলে দেন মিডঅনে। তবে টাইগাররা বড় ধাক্কাটা খায় ষষ্ঠ ওভারে। আউট হয়ে যান আসরে এখন পর্যন্ত পাওয়া দুটি জয়েরই নায়ক সাকিব (৪)। চাপ কাটিয়ে উঠতে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন এ অলরাউন্ডার। তবে ক্রিস ওকসের বলে হুক করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন শর্ট ফাইন লেগে।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। ৩০ বলে ৩টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ২৪ বলে ১৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ৯ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ১৯ রান করেন নাসুম। ইংল্যান্ডের পক্ষে ২৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন টাইমাল মিলস। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মইন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (লিটন ৯, নাঈম ৫, সাকিব ৪, মুশফিক ২৯, মাহমুদউল্লাহ ১৯, আফিফ ৫, সোহান ১৬, মেহেদী ১১, নাসুম ১৯*, মোস্তাফিজ ০; মইন ২/১৮, ওকস ১/১২, আদিল ০/৩৫, জর্ডান ২/১৫, মিলস ৩/২৭, লিভিংস্টোন ২/১৫)।

Comments

The Daily Star  | English

Sajek accident: Death toll rises to 9

The death toll in the truck accident in Rangamati's Sajek increased to nine tonight

3h ago