দশম শ্রেণির আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষা নয়: শিক্ষামন্ত্রী

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দশম শ্রেণির আগে শিক্ষার্থীদের কোনো পাবলিক পরীক্ষায় বসতে হবে না। এছাড়া তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ছবি

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দশম শ্রেণির আগে শিক্ষার্থীদের কোনো পাবলিক পরীক্ষায় বসতে হবে না। এছাড়া তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আজ এক সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তনের এই ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, একাদশ শ্রেণির আগে বিজ্ঞনা, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ থাকবে না। চলতি পাঠ্যক্রমে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের তিন ধারার মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে হয়।

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না থাকার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই তিন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুলেই 'শিখনকালীন মূল্যায়ন' হবে।

চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান বিষয়ে ৬০ ভাগ নম্বরে 'শিখনকালীন মূল্যায়ন' হবে। বাকি ৪০ ভাগ নম্বরের জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে 'সামষ্টিক মূল্যায়ন' হবে। এর বাইরের বিষয়গুলোতে সম্পূর্ণভাবে 'শিখনকালীন মূল্যায়ন' হবে।

নবম ও দশম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান বিষয়ে ৫০ ভাগ নম্বরে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে। বাকি ৫০ ভাগ নম্বরে পরীক্ষার মাধ্যমে 'সামষ্টিক মূল্যায়ন' হবে। অন্যান্য বিষয়ে 'শিখনকালীন মূল্যায়ন' হবে।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীদের প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় বসতে হবে দশম শ্রেণি শেষে। দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি অনুযায়ী এই পরীক্ষা হবে।

তিনি জানা, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি শেষ করতে শিক্ষার্থীদের দুবার পাবলিক পরীক্ষায় বসতে হবে। দুই শ্রেণির পাঠ্যসূচি অনুযায়ী এই পরীক্ষা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল মিলিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের চূড়ান্ত ফলাফল পাবে শিক্ষার্থীরা।

নতুন পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যাপারে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দশম শ্রেণির আগে আমরা কোনো পাবলিক পরীক্ষা রাখছি না।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা অনুমোদনের পর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২৩ সাল থেকে দুই বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে সরকার।

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যক্রমের বই পাবে। এছাড়া তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২০২৪ সালে নতুন বই পাবে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে ২০২৫ সালে।

Comments

The Daily Star  | English

Secondary schools, colleges to open from Sunday amid heatwave

The government today decided to reopen secondary schools, colleges, madrasas, and technical education institutions and asked the authorities concerned to resume regular classes and activities in those institutes from Sunday amid the ongoing heatwave

38m ago