করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। যেটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করতে পারেনি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নব নিয়োগকৃত জুনিয়র কনসালটেন্টদের (অ্যানেস্থেসিওলজী) অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, 'দেশে এখন করোনা নিয়ন্ত্রণ আছে। এটা কোনো ম্যাজিকের মাধ্যমে সম্ভব হয়নি। এটা চিকিৎসক ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণের হার ৭. ০৩ শতাংশ। তবে এটা যে কোনো সময় বাড়তে পারে। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হবে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।'
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। যেটা ভারতে ঘটেছে। সেখানে গাড়িতে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ যেটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করতে পারেনি। ভারত, আমেরিকা এবং যুক্তরাজ্যেও করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে করতে পারেনি।'
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ আছে বলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ আছে বলেই আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো আছে।'
দেশে অ্যানেস্থেসিওলজী সংকট আছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'অ্যানেস্থেসিওলজী নতুন নিয়োগটি দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও অ্যানেস্থেসিওলজী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগামীতে এই সংকট আর থাকবে না।'
তিনি বলেন, 'দেশে টিকার কোনো সংকট হবে না, এই মাসে দেড় কোটি টিকা আসবে।'
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ বলেন, '৪০৯ জন নতুন অ্যানেস্থেসিওলজী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমন নিয়োগ বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি। তবে, দুঃখের বিষয় হলো ইতোমধ্যে আমার কাছে অনেক টেলিফোন এসেছে নিজেদের পছন্দ মতো হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়ার জন্য। আমি তাদের বলতে চাই অধিদপ্তর থেকে যাদের যে হাসপাতালে নিয়োগ দেওয়া হবে সেখানেই কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।'
তিনি বলেন, 'অ্যানেস্থেসিওলজী কী পরিমাণ প্রয়োজন, আমি একজন সার্জন হিসেবে তাদের গুরুত্ব বুঝি। সার্জনের ভুলের জন্য রোগীর অবস্থা খারাপ হয় না। তবে অ্যানেস্থেসিওলজী বিন্দুমাত্র ভুলের কারণে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে মানুষের ভালো ধারণা নেই। তাই আমি বলব আপনার এই চাকরির মর্যাদা রাখবেন।'
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সচিব আলী নূর, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরফুউদ্দিন আহমেদ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব এম এ আজিজসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্মকর্তারা।
Comments