ড্রোন হামলা প্রতিরোধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করবে ভারত
ভারতের ভেতরে যেকোনো ড্রোন হামলা প্রতিরোধে দেশটির সামরিক বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করবে ভারত।
এ ছাড়াও, শক্র পক্ষের ড্রোনগুলো চিহ্নিত করতে ভারত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেকটর, ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ও ইনফ্রারেড ক্যামেরা এবং রাডারের ব্যবহারের কথা ভাবছে।
আজ বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উচ্চ-পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শক্র পক্ষের ড্রোনগুলো’ প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে, তা সুনির্দিষ্ট করেছে ভারত।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত রোববার জম্মুতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর স্টেশন বা সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিমানবন্দরটিতে যে ধরনের হামলা হয়েছিল, সে ধরনের হামলা মোকাবিলায় শিগগির ব্যাপক আকারে সমন্বিত কৌশল গ্রহণ করবে ভারত।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে জম্মু বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা ও এর প্রতিরোধ-কৌশল নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভাল প্রমুখ।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবকে নিয়ে গঠিত উত্তর-পশ্চিম সেক্টরে ড্রোন-প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুবই জরুরি। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় একটি সমন্বিত নীতি গ্রহণের বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।’
ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ড্রোন হামলা প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রযুক্তি দেশটির বিমান বাহিনী দেখভাল করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনায় দেখা গেল সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ছোট ছোট ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরক বহনের পারদর্শিতা অর্জন করেছে। তাই, এগুলো প্রতিরোধে কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা-সম্পন্ন ড্রোনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।’
গত রোববার ভোররাত ২টার দিকে বিস্ফোরকবাহী ড্রোন দিয়ে জম্মু বিমানবন্দরে হামলা চালানো হয়। সেসময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুই সদস্য সামান্য আহত হন। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের সামরিক স্থাপনায় এই প্রথম এ ধরনের হামলা চালানো হলো।
আরও পড়ুন:
Comments