মুক্তিযুদ্ধ

১১ জুন ১৯৭১: আর্জেন্টিনার বুদ্ধিজীবীদের মুক্তি সংগ্রামে একাত্মতা

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১১ জুন গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি দিন। এদিন মস্কো সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং ও সোভিয়েত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক শেষে এক যুক্ত ইশতেহারে বলা হয়, অবিলম্বে পূর্ব বাংলায় এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে সেখান থেকে ভারতে উদ্বাস্তু যাওয়া নিশ্চিতরূপে বন্ধ হয়। উভয়পক্ষই এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেন যে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং উদ্বাস্তুরা যাতে নিরাপদে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করতে পারে তার সমস্ত ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১১ জুন গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি দিন। এদিন মস্কো সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং ও সোভিয়েত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক শেষে এক যুক্ত ইশতেহারে বলা হয়, অবিলম্বে পূর্ব বাংলায় এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে সেখান থেকে ভারতে উদ্বাস্তু যাওয়া নিশ্চিতরূপে বন্ধ হয়। উভয়পক্ষই এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেন যে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং উদ্বাস্তুরা যাতে নিরাপদে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করতে পারে তার সমস্ত ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

আবু সাঈদ চৌধুরীর সাক্ষাৎকার

১১ জুন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দূত লন্ডনে এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় বাংলাদেশের সামগ্রিক বিষয় ও পাকিস্তানি সামরিক প্রশাসনের অপপ্রচার ও বিধ্বংসী সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন স্বাধীন একটি দেশ। পাকিস্তানি বাহিনীর এই ঘৃণ্য বিধ্বংসী কাজ, গণহত্যা, নিপীড়ন বন্ধ না হলে পাকিস্তান এর ফল মারাত্মকভাবে ভোগ করবে।'

১১ জুন খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালান্তরে ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশের মাটি থেকে পাকিস্তানী হানাদারদের উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী জনাব এম মনসুর আলী বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে চার দিনব্যাপী সফরের পর আজ মুজিবনগরে প্রত্যাবর্তন করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা দেশের মাটি থেকে পাক হানাদারদের উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর। ওই সফরের সময় তিনি মুক্তিফৗজ নিয়ন্ত্রিত কতিপয় শিবির পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ওই শিবিরসমূহে তিনি ‘তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অদম্য মনোবল ও অনমনীয় দৃঢ়তা’ প্রত্যক্ষ করেছেন।

১১ জুন পূর্ব পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি খাজা খায়রুদ্দিন ও পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাথে ইসলামাবাদে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, 'শান্তি কমিটি অখণ্ড পাকিস্তানের আদর্শ রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ভারতের চর মুক্তিবাহিনী ও আওয়ামী লীগের ধ্বংস অনিবার্য।' 

ঢাকায় এদিন

১১ জুন আইনজীবী জুলমত আলী ঢাকায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে কিছু সংখ্যক বিচ্ছিন্নতাবাদীকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। এসব দুস্কৃতকারীদের অত্যাচারে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ হস্তক্ষেপ না করলে বিশ্বের মানচিত্র থেকে অখণ্ড পাকিস্তানের নাম মুছে যেতো। সেনাবাহিনী হিন্দু ও আওয়ামী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছে।’ 

১১ জুন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক সমিতির (মফস্বল সাংবাদিক সংগঠন) সহকারী সম্পাদক বগুড়া আজিজুল হক কলেজের শিক্ষক এম এ রব ঢাকায় এক বক্তব্যে বলেন, 'সেনাবাহিনী দেশদ্রোহীদের ধ্বংস করেছে। এখন সাংবাদিকদের উচিত ভারতীয় প্রচারণার বিরুদ্ধে কলম ধরে দেশের মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।'

১১ জুন পাকিস্তান বোধ জাগানোর জন্য পাকিস্তান কল্যাণ ও শান্তি পরিষদ ১৪ আগস্ট থেকে জাতীয় সংহতি কল্যাণ ও ইসলামী ভ্রাতৃত্ব সপ্তাহ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।

আন্তর্জাতিক মহলে মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গে বিবৃতি 

১১ জুন আর্জেন্টিনার বুদ্ধিজীবী মহলের একটি প্রতিনিধিদল সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি. লুইস মারিয়া ডি পাবলো পার্ডোর সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং পশ্চিমবঙ্গে যেসব শরণার্থী এসেছিল তাদের জরুরি সাহায্য-সহযোগিতা পাঠানোর অনুরোধ করে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। আর্জেন্টিনার প্রথম সারির লেখক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিত্রশিল্পী, বিচারক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব, সঙ্গে স্বনামধন্য লেখক মাদামি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো এবং জর্জ লুইস বোর্হেস এবং ফাদার ইসমাইল কুলিস, ই এল সালভাদর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন। স্মারকলিপির পাঠযোগ্য অংশ আর্জেন্টিনার পত্রিকায় গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছিল।

সেই স্মারকলিপিতে লেখা ছিল, ‘পূর্ববঙ্গের সাম্প্রতিক দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশাল জনগোষ্ঠী নারী, পুরুষ, শিশু পালিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারতে গিয়েছে এবং বিশাল সমস্যা তৈরি হয়েছে। নিজেদের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভারত তার শান্তি, সহঅবস্থান ও পারস্পরিক সহযোগিতা কামনা করছে। শরণার্থীরা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের জন্য কঠিন সংগ্রাম করছে। ভারত, যারা নিজেরাই নিজেদের জাতিগঠনে কাজ করছে, তারা এই বিশালসংখ্যক শরণার্থী একা আশ্রয় দিতে পারছে না। আন্তর্জাতিক সমস্যা মানুষের দুঃখ দুর্দশার ঘটনা কোনো সীমারেখা মানে না। পৃথিবীর যে কোনো স্থানের দুঃখ, মুত্যু, দারিদ্র্যতা পুরো মানবজাতির জন্য উদ্বেগের। তবুও এটি দুঃখজনক যে, পূর্ববঙ্গের ঘটনায় এখনও বিশ্ববিবেক জাগ্রত হয়নি অথবা মানবিক সমস্যা, যেগুলো অন্য কোথাও সৃষ্টি এবং যার উপর কোনো হাত নেই, সেগুলো সমাধানের জন্য ভারতকে সাহায্য করার ব্যাপারেও যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যায়নি। আশা করছি যে, আমাদের সরকার নিজেদের সার্বজনীন ও পারস্পরিক সংহতির ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দ্রুততার সঙ্গে যথাসাধ্য সর্বোচ্চ সাহায্য করবে, যেন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী ভারতের উপর আরোপিত এই সঙ্কটের সমাধান হয়।’

১১ জুন করাচির ডন পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক আলী জাফরী এদিন লন্ডনে বাংলাদেশে সংঘটিত পাক নৃশংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়ে জনসাধারণের কাছে এই মর্মে আবেদন জানিয়েছেন যে, 'তারা যেন ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী টেস্ট ম্যাচগুলো বয়কট করে।' এর আগে আলী জাফরী পাকিস্তানে ব্যক্তি স্বাধীনতা অপহরণের প্রতিবাদে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব বর্জন করেছিলেন।

১১ জুন ব্রিটেনে হাউজ অব কমন্সে পূর্ব পাকিস্তানে চলমান গণহত্যা, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও সামরিক বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়। বক্তব্যের এক পর্যায়ে বিরোধীদল লেবার পার্টির নেতা পিটার শোর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর তৎপরতা ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সামরিক নানা পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে বলেন, 'আমরা পাকিস্তানকে সাহায্য পাঠিয়েছিলাম। আর পাকিস্তান সেই সাহায্য ব্যবহার করছে পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ মানুষের উপর। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পাকিস্তানকে সহায়তার ব্যাপারে এখন থেকে আমাদের দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে। এই অবস্থার সৃষ্টি করে পাকিস্তান কখনোই ব্রিটেনের বন্ধু হিসেবে থাকতে পারে না।

১১ জুন ব্রিটেনে বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য গণ অনুদানের মাধ্যমে ৫৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়।

১১ জুন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিম জার্মানির চ্যান্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর ভারত একটি সরকারি ইশতেহার প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ভারতের একার পক্ষে শরণার্থী সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না।

পশ্চিম জার্মানি ভারত উপমহাদেশে শান্তি ও স্থায়িত্ব অক্ষুণ্ন রাখার ব্যাপারে জার্মানি তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। তারা পরিস্থিতির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছেন।'

১১ জুন ভারতের কেন্দ্রীয় শিল্পোন্নয়ন মন্ত্রী মইনুল হক চৌধুরী হেগে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী পিয়েত দে জংয়ের সঙ্গে দেখা করে পূর্ব বাংলার বিষয় সম্পর্কে জানান। এসময় তিনি শরণার্থীদের জন্য নেদারল্যান্ডসকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন।

১১ জুন ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম ম্যাকমাহানের সঙ্গে দেখা করে পূর্ব বাংলার ঘটনাবলি ও শরণার্থী সমস্যাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি অস্ট্রেলিয়াকে এই বিষয়ে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরার অনুরোধ করেন।

১১ জুন সোভিয়েত ইউনিয়নের রেডক্রস সোসাইটি ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলোতে দ্রুত কলেরার টিকা ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানোর ঘোষণা দেয়। ১১ জুন বেলজিয়াম সরকার বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য ২০ মিলিয়ন বেলজিয়াম ফ্রাঙ্ক, কানাডার একটি সংগঠন ৫০ হাজার কানাডিয়ান ডলার অনুদান দেয়ার ঘোষণা করে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ

১১ জুন আকাশবাণী এক খবরে বলে, 'বাংলাদেশ সরকারের জনৈক মুখপাত্র বাংলাদেশের পাক সামরিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত তথাকথিত স্বাগত কেন্দ্রগুলোকে বন্দী শিবিরের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি জানান, সম্প্রতি ভারতের পথে আসার সময় বহুসংখ্যক শরণার্থীকে পাক সামরিক কর্তৃপক্ষ জোর করে ওই স্বাগত কেন্দ্রগুলোতে ধরে নিয়ে গেছে।'

১১ জুন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলে, 'ঢাকা থেকে সামরিক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত ইংরেজী দৈনিক মর্নিং নিউজ পত্রিকার অধিকাংশ বাঙালী কর্মচারীকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশে সামরিক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত ওই সকল পত্রিকার কোনো গ্রাহক নেই। সামরিক কর্তারা পত্রিকার ২০০০ কপি কিনে নেয়, মাঝে মাঝে সেনাদের মধ্যে বিমান থেকে এগুলো ফেলে দেয়া হয়। কিন্তু সাধারণ নিরপেক্ষ কোনো বেসামরিক পাঠক নেই।'

দেশব্যাপী প্রতিরোধযুদ্ধ

১১ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চতুর্থ বেঙ্গল ‘ডি’ কোম্পানির এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা কসবার উত্তরে চার্নলে পাকিস্তানি হানাদারদের অ্যামবুশ করে। এ অভিযানে ১২ জন হানাদার সেনা নিহত হয়। চার্নলে পর্যুদস্ত হানাদার সেনারা ইয়াকুবপুরের দিকে পালাবার পথে আরেকদল মুক্তিযোদ্ধার অ্যামবুশের মুখে পড়ে। এখানে হানাদার বাহিনীর ৮ জন সৈন্য নিহত ও ১৩ জন আহত হয়। এ দুটি অ্যামবুশের পর অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিবাহিনীর হাতে আসে।

১১ জুন মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল কুমিল্লার লাকসামে হানাদার বাহিনীর একটি গাড়িতে অ্যামবুশ করে এতে ৫ জন হানাদার সৈন্য নিহত হয় এবং হানাদারদের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়।

১১ জুন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সন্ধ্যায় বলা হয় চুয়াডাঙ্গার শেয়ালমারীতে মাইন বিস্ফোরণে ২টি সামরিক ট্রাক ধ্বংস হয়ে ২৯ জন পাকহানাদার নিহত এবং ৪ জন আহত হয়। ওই মাইন বিস্ফোরণের শব্দে ভীত পাক হানাদাররা জীবননগর দর্শনা থেকে ঘটনাস্থলের দিকে আসে। দুইপক্ষেই পরস্পর মুক্তিসেনা বলে ভুল করে এবং পরস্পরের ওপর গুলি চালাতে থাকে। ফলে ১৩ জন হানাদার বাহিনীর সেনা নিজেদের গুলিতেই নিহত হয়।

তথ্যসূত্র-

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র; সপ্তম, নবম, দ্বাদশ, ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ খণ্ড 

দৈনিক পাকিস্তান, ১২ জুন ১৯৭১ 

দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকা ১২ জুন ১৯৭১ 

দৈনিক কালান্তর ১১ জুন ১৯৭১ 

আহমাদ ইশতিয়াক 

[email protected]

Comments

The Daily Star  | English

Cuet students suspend protests

Say authorities assured them of meeting their major demands

1h ago