প্রবাসে

জাপানে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বেড়েছে

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে জাপানে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। রাজধানী টোকিওসহ আরও ৮টি প্রদেশে এ জরুরি অবস্থা আগামী ২০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।
Suga.jpg
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে জাপানে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। রাজধানী টোকিওসহ আরও ৮টি প্রদেশে এ জরুরি অবস্থা আগামী ২০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

অন্য প্রদেশগুলো হচ্ছে ওসাকা, কিয়োতো, হিয়োগো, হোক্কাইদো, ওকায়ামা, আইচি, হিরোশিমা এবং ফুকুওকা। দেশটিতে চলমান জরুরি অবস্থার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ মে।

তবে চিবা, সাইতামা, কানাগাওয়া, মিএ এবং গিফু প্রদেশগুলোকে নিজেদের অবস্থান থেকে সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার রাতে নিজ কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী এ ঘোষণা দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।

তিনি বলেন, ‘টোকিও এবং ওসাকাসহ বেশ কিছু অঞ্চলে সংক্রমণ এবং সনাক্ত হ্রাস পেলেও সার্বিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়, যা অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত।’

গত ২৭ মে টোকিওর গভর্নর ইয়ুরিকো কোইকে এবং অন্যান্য প্রদেশগুলোর গভর্নরদের পক্ষ থেকে রেস্তোরাঁগুলোতে ৩১ মে’র বাইরে আরও কঠোর বিধিনিষেধ বজায় রাখা, অ্যালকোহল পরিবেশন বন্ধ এবং রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে বাধ্য করা এবং একইসঙ্গে স্পোর্টস ও কনসার্ট আয়োজন বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সুগা বলেন, ‘ভারত, পাকিস্তান এবং নেপাল থেকে আগতদেরকে আজ থেকে ছয় দিনের পরিবর্তে ১০ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।’ 

জুন মাসে প্রথম ডোজ হিসেবে ১০ কোটি এবং সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ১০ কোটি ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিদিন ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। তার আগে বয়স্কদের দ্বিতীয় ডোজ প্রদান সম্পন্ন করা হবে বলে জানান সুগা।

সুগা বলেন, ‘আসন্ন টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকে অংশ নেওয়া প্রতিযোগী এবং সংশ্লিষ্ট মোট ৭৮ হাজার মানুষের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন প্রদানসহ আগতদের একনাগাড়ে তিন দিন পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

টোকিও অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক আয়োজনের দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে তিন সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা জারি পরিস্থিতির কতোটুকু উন্নতি করবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরা। বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন অলিম্পিক গেমস নিরাপদে রাখা যাবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।

সম্প্রতি সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জাপান সরকার ওকিনাওয়া প্রদেশকেও জরুরি অবস্থার আওতায় এনেছে। যা ১ জুন থেকে কার্যকর হয়ে ২০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

উল্লেখ্য, জাপানে এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৪০ হাজার ৯৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১২ হাজার ৮৫১ জন।

আরও পড়ুন:

টোকিওর ইসরায়েল দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

জাপানে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ল

জাপানে তৃতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা

টোকিও অলিম্পিক কমিটির প্রধান হচ্ছেন সেইকো হাশিমোতো

অলিম্পিক আয়োজনে দৃঢ় অবস্থানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী

Comments

The Daily Star  | English

Sajek accident: Death toll rises to 9

The death toll in the truck accident in Rangamati's Sajek increased to nine tonight

7h ago