আমি প্রতারণার অভিযোগ আনছি না: ব্র্যাথওয়েট

ওশান টমাসের বলে আম্পায়ারের পর পর দুবার ভুল করে ‘নো’ বল ডাকার ঘটনার মাঠেই প্রতিবাদমুখর উইন্ডিজ দল সংবাদ সম্মেলনেও আড়াল করেনি কিছু। অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট রাখঢাক না রেখেই দিয়েছেন পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা।
Ban Vs WI t20
ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর কাছে ব্যাখ্যা চাইছে উইন্ডিজ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওশান টমাসের বলে আম্পায়ারের পর পর দুবার ভুল করে ‘নো’ বল ডাকার ঘটনার মাঠেই প্রতিবাদমুখর উইন্ডিজ দল সংবাদ সম্মেলনেও আড়াল করেনি কিছু। অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট রাখঢাক না রেখেই দিয়েছেন পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা।

চতুর্থ ওভারে পর পর দুটি ভুল ‘নো’ বল ডাকেন আম্পায়ার তানবীর আহমেদ। তার একটিতে লিটন দাস দিয়েছিলেন ক্যাচও। এরপরের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় খেলা বন্ধ থাকে আট মিনিট। প্রতিবাদমুখর হয়ে ব্যাখ্যা চায় উইন্ডিজ, ম্যাচ শেষে উইন্ডিজ অধিনায়ক জানিয়েছেন কি ছিল তাদের দাবি,  ‘নিয়ম হচ্ছে নো বল হলে রিভিউ করার কোন উপায় নেই। কিন্তু যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেওয়া হয় তবে আম্পায়ার ভিডিওতে চেক করতে পারেন। সবাই দেখেছে এটা নো বল ছিল না। ওশান টমাস অনভিজ্ঞ তরুণ। যেটা উইকেট পাওয়ার কথা ছিল সেটা পরিণত হলো ফ্রি হিটে। একটা অতিরিক্ত বল করতে হলো, অতিরিক্ত রান এলো। অবশ্যই এটা তার মনের উপর আঘাত হেনেছে।’

‘অধিনায়ক হিসেবে পুরো পরিস্থিতিতে দলের হয়ে আমাকে দাঁড়াতে হয়েছে। অফিসিয়ালরা প্রতারণা করেছে এটা বলছি না, আমার মনে হয় তারা পেশাদার। যাইহোক শুধু যা ঘটেছে তা নিয়েই বলতে চেয়েছি। ’

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও একাধিক সিদ্ধান্ত তাদের বিপক্ষে গিয়েছে বলে দাবি করে ব্র্যাথওয়েট জানান এই ব্যাপারে ম্যাচ রেফারিকে আগেই অবগত করেছিলেন তারা,  ‘দ্বিতীয় ম্যাচের পরই আমি ম্যাচ রেফারির কাছে গিয়েছিলাম, আমি বলেছিলাম ওয়ানডে সিরিজ থেকেই প্রতিটি ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষে যাচ্ছিল। আমি কখনই প্রতারণার জন্য কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমি মনে করি না তাদের অভিপ্রায় পক্ষপাত মূলক কিংবা প্রতারণা করার মতন, আমি প্রতারণার অভিযোগ তুলেছি না। আমি শুধু আমার কথা জানাতে চেয়েছি ম্যাচ রেফারিকে। কারণ আমি ওয়ানডে সিরিজ থেকে দলের সঙ্গে আছি, প্রতিটি ফিফটি ফিফটি সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গিয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে চেয়েছি।  সেটা সাদা কিংবা লাল বল যাইহোক। কিন্তু আমি উইন্ডিজের হয়ে খেলতে গিয়ে প্রতিবারই দেখছি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তগুলো আমাদের ক্ষতি করছে।’

আম্পায়ারের পর পর দুই ভুল সিদ্ধান্তের পর উত্তেজনায় ফুঁসিতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা। এই সময়ে দলের তরুণদের শান্ত করে  কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিলেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক, ‘চতুর্থ ওভারে আগেও এমন হলো। দলের সবাই খুব তরুণ আমি তাদের উস্কে দিতে পারি না। যদি কিছু হয় অধিনায়ক হিসেবে দায় আমার উপরই আসবে। আমি কেবল বলেছি আমাদের দল হিসেবে একসঙ্গে থাকা উচিত। চতুর্থ আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিকে জানানো উচিত। অবশ্যই কিছু উত্তেজক ও আবেগিয় মুহূর্ত তৈরি হয়েছি। আমরা আমাদের দেশের হয়ে লড়ছি। আমি কেবল নিয়মটা কি জানতে চেয়েছি।’

পুরো ঘটনায় উত্তেজনা সামলে সময় চেয়েছিল উইন্ডিজ। সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচ হওয়ায় বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে চাননি তারা , ‘ম্যাচ রেফারির কথা আমাকে মানতে হয়। উত্তপ্ত কিছু কথা বলার উপর ব্যাপারটা সমাধান হয়েছে। দলের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কারণ এটা সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচ ছিল। এতদূর কষ্ট করে আসার পর খালি হাতে মাঠ ছাড়তে চাইনি আমরা। তবু সিদ্ধান্ত বদলায়নি, পরে আমরা লড়াই করেই জিতেছি। ওই সময় আমি পাঁচ মিনিট সময় চেয়েছিলাম সামলে নিতে, কৃতজ্ঞ যে ম্যাচ রেফারি সেটা মেনে নিয়েছেন।’

 

Comments

The Daily Star  | English

Dos and Don’ts during a heatwave

As people are struggling, the Met office issued a heatwave warning for the country for the next five days

1h ago