রিভিউ

কোন আশা, কোন স্বপ্নের সন্ধান পাওয়া গেলো না

ছোট বাচ্চাসহ বয়স্কদের একটা স্কুলে পড়ান বাপ্পী। তার সবকিছু যেন তাদেরকে ঘিরেই। কারণ নিজের বাবার সঙ্গে একটা দূরত্ব রয়েছে। বাবার সঙ্গে এই দূরত্বটা স্কুলে পড়িয়ে দূর করার চেষ্টা করেন তিনি। একটা অনুষ্ঠানে গান করতে আসে পরীমণি...

চলচ্চিত্র: কত স্বপ্ন কত আশা

পরিচালক: ওয়াকিল আহমেদ

অভিনয়: পরীমণি, বাপ্পী, সুব্রত, শতাব্দী ওয়াদুদ

দৈর্ঘ্য: ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট

দুর্বলতা: চিত্রায়ন

মুক্তির তারিখ: ১৩ জানুয়ারি

দর্শকের মতামত: ২/৫

 

ছোট বাচ্চাসহ বয়স্কদের একটা স্কুলে পড়ান বাপ্পী। তার সবকিছু যেন তাদেরকে ঘিরেই। কারণ নিজের বাবার সঙ্গে একটা দূরত্ব রয়েছে। বাবার সঙ্গে এই দূরত্বটা স্কুলে পড়িয়ে দূর করার চেষ্টা করেন তিনি। একটা অনুষ্ঠানে গান করতে আসে পরীমণি। সেখানে গুণ্ডারা তাকে তুলে নিয়ে যেতে চায়। বাপ্পী এই যাত্রায় তাকে রক্ষা করেন। তখনো তাদের মাঝে মন দেয়া-নেয়ার পর্ব শুরু হয়না। আরেকবার গুণ্ডারা  রাস্তায় পরীমণির ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যেতে চায়। এখানেও এসে ব্যাগটা রক্ষা করেন বাপ্পী। দুজনার মধ্যে ভালোবাসার রসায়ন তৈরি হতে শুরু করে। যখন তারা পুরোপুরি জড়িয়ে যায় ভালোবসায়, তখন দুজনার ধর্মীয় পরিচয়টা সামনে এসে দাঁড়ায়। পরীমণি এখানে একটি হিন্দু পরিবারের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার নাম পরী ব্যানার্জি। নিজের নামটা সিনেমাতেও রেখেছেন। অবশেষে, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দুজনের মিলন হয়। পরীমণির পরিবার মেনে নেয় সবকিছু।

চিত্রায়নের সমস্যা অনেকখানিই ডুবিয়েছে চলচ্চিত্রটিকে। একজন দক্ষ চিত্রগ্রাহকের অভাবে এমনটা হয়েছে। কিছুটা মনোযোগী হলে চিত্রায়ন চোখ-সহ্য করতে পারতো। পুরো সিনোমায় এর অভাবটা বড়বেশি চোখে লেগেছে। লোকেশন নির্বাচনেও ছিলো না পরিচালকের কোন মাথাব্যথা। গানের বিষয়েও ছিলো অবহেলা। যেখানে সিনেমার একটা চরিত্র কণ্ঠশিল্পী সেখানে গান নিয়ে ভাবার অনেক জায়গা ছিলো।

পরীমণি প্রথম থেকেই তার চরিত্রের বিষয়ে খুব বেশি মনোযোগী ছিলেন। কিন্তু গল্প আর চরিত্রটি ঠিকমতো বুনতে পারেননি পরিচালক। তাহলে পরী হয়ে উঠতে পারতেন অসামান্য। এখানেও তার ভাগ্যটা কিছুটা খারাপই বলা যায়। ভালো অভিনয় করার পরও ঠিক মতো জ্বলে উঠতে পারলেন না, পরিচালক আর গল্পের দৈন্যতার কারণে। পরীমণিকে ঠিকমতো ব্যবহার করে একটা ভালো সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব ছিল। সেইসব গুণ রয়েছে তার মধ্যে।

বাপ্পীও চেষ্টা করেছেন ভালো অভিনয় করার। শতভাগ মিশে যেতে চেয়েছেন চরিত্রটির সঙ্গে। তবে কী যেন একটা ছিলো না তার মধ্যে। এই ‘কী’- টা কাটিয়ে উঠতে হবে। আর হিন্দু-মুসলমান প্রেম নিয়ে এর আগে অনেক ভালো ছবি নির্মিত হয়েছে। এখানে গল্পটা একটু ভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করতে পারতেন পরিচালক। কেননা, তার হাত দিয়ে বেশ কিছু সফল সিনেমা নির্মিত হয়েছে। দর্শকরাও দেখেছেন সেগুলো। কেন তিনি বিষয়গুলোতে মনোযোগী হলেন না ঠিক বোঝা গেলো না। আগামী ছবিতে নিশ্চয় এই সব কাটিয়ে উঠবেন এমন আশা রাখতেই পারি।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka denounces US 2023 human rights report

Criticising the recently released US State Department's 2023 Human Rights Report, the foreign ministry today said it is apparent that the report mostly relies on assumptions and unsubstantiated allegations

1h ago