হাসপাতাল খালি নেই, মৃদু আক্রান্তদের হোটেলে রাখার পরিকল্পনা

করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগীর হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ে না— তাদের হোটেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া কথা চিন্তা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগীর হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ে না— তাদের হোটেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া কথা চিন্তা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মাইল্ড কেইস, যেসব রোগীর হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ে না— তাদের জন্য আমরা আলাদা হোটেল ভাড়া করার চিন্তা করেছি। যে হোটেলে ডাক্তার, নার্স এবং ওষুধপত্র থাকবে। কিছু অক্সিজেনের ব্যবস্থাও আমরা রাখবো। কারণ হাসপাতালে আর জায়গা নাই। আমরা এখন হোটেল খুঁজছি যেখানে একটা ব্যবস্থা করতে পারি। যারা মৃদু আক্রান্ত হয়েছে তাদের রাখতে পারি। তারা সেখানে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে গেলে বাড়ি চলে যেতে পারবেন। সেই ব্যবস্থাটুকু আমরা হাতে নিয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে অন্যান্য শিল্প খুলে দেওয়া হবে। পরিবহন-দোকানপাট খুলবে। সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা পরে পাওয়া যাবে। হাসপাতালগুলোর ৯০ শতাংশ সিটে রোগী আছে। আইসিইউ ৯৯ শতাংশ ভরে গেছে। এই চিন্তা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করছি। সেটার কাজ চলমান আছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যাতে স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদন করি, তার ওপর আজকের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জোর দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চীনের সিনোফার্ম ও বাংলাদেশের একটি কোম্পানির সঙ্গে এই টিকা উৎপাদন করার কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্রও আমরা পেয়ে গেছি। ভ্যাকসিনের পাশাপাশি মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা ফোর্স করতে চাই তাহলে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যাতে যারা মাস্ক পরবে না তাদের জরিমানা করতে পারে। এ জন্য অধ্যাদেশ লাগবে। আলোচনা হয়েছে, সে দিকেও আমরা যাব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাত দিনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি। এই সাত দিনে প্রায় এক কোটি টিকা আমরা দেবো, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামের যারা বয়স্ক তাদের অগ্রাধিকার দেবো। কারণ তাদের মৃত্যু ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ যারা তারাই বেশি মারা যাচ্ছেন, সেই কারণে টিকা আমরা গ্রামে নিয়ে যাচ্ছি। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদের জন্য জন্ম নিবন্ধনপত্র বা এসএসসির সনদ নিয়ে টিকা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Trade at centre stage between Dhaka, Doha

Looking to diversify trade and investments in a changed geopolitical atmosphere, Qatar and Bangladesh yesterday signed 10 deals, including agreements on cooperation on ports, and manpower employment and welfare.

2h ago