সিলেট বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ ১৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪২ শতাংশ

সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ১৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
করোনায় আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রাবেয়া খাতুনকে নিয়ে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষারত তার ছেলে। আইসিইউ শয্যা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সাধারণ শয্যা খালি হওয়ার পর সেখানেই তাকে ভর্তি করানো হয়। সম্প্রতি সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের সামনে থেকে ছবিটি তুলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী শেখ নাসির।

সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে একদিনে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ১৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

একই সময়ে এক হাজার ৩৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ।

আজ সোমবার সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় স্বাক্ষরিত দৈনিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

তিনি জানান, মৃত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনের বাড়ি সিলেটে, তিন জনের সুনামগঞ্জ এবং একজনের হবিগঞ্জ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সিলেটে ৫৯৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া, সুনামগঞ্জে ২৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০৭ জন, হবিগঞ্জে ৩৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪৬ জন ও মৌলভীবাজারে ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার সিলেটে ৪১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, সুনামগঞ্জে ৪৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ, হবিগঞ্জে ৪৩ দশমিক ৭১ শতাংশ ও মৌলভীবাজারের ৩৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

আজ সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ৩৭৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এরমধ্যে সিলেটে ২৬৩ জন, সুনামগঞ্জে ৫৬ জন, হবিগঞ্জে ৩০ ও মৌলভীবাজারে ৩০ জন।

সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ২১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৮ হাজার ৮৪৩ জন, মারা গেছেন ৬৩১ জন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Qatar ink 10 cooperation documents

Bangladesh and Qatar today signed 10 cooperation documents -- five agreements and five MoUs -- to strengthen ties on multiple fronts and help the relations reach a new height

1h ago