শিশুদের আমেরিকার উৎপাদিত ভালো মানের টিকা দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিশুদের আমেরিকার উৎপাদিত ভালো মানের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ জন, এস কে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ জন, সদর উপজেলার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন এবং জাহিদ মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থীদের আমেরিকার তৈরি ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়।
শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, 'আজকে আমাদের জন্য একটি আনন্দের দিন। আজ পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলো। এরপর সারাদেশে প্রায় ২১টি স্থানে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করবো।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০ লাখ শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। আমেরিকার উৎপাদিত ভালো মানের টিকাই শিশুদের দেওয়া হবে।'
আজ পরীক্ষামূলকভাবে এই টিকা দেওয়া শুরু করা হলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এই টিকা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা নিরাপদ। আমরা চাই, আমাদের শিশুরা নিরাপদে থাকুক। শিশুরা বিদ্যালয়ের যাচ্ছে। করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার জন্যই এই টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই আমাদের শিশুদের এই ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।'
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশে প্রায় ১ কোটির বেশি শিশু রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। আমাদের হাতে ৬০ লাখ টিকা আছে, যা ৩০ লাখ শিশুদের দেওয়া যাবে।'
টিকা নেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'টিকায় সুরক্ষা হয়। তবে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। এ কারণেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'পর্যায়ক্রমে সারাদেশের মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সারাদেশে প্রায় ৫ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে দেশের ৫০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া, সময়মতো টিকা পেলে আগামী এপ্রিলের মধ্যে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।'
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৪ ভাগ এবং মৃত্যুর হারও কম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং সারা পৃথিবীতে ২৬তম।'
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
Comments