‘হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগীর ঠিকানা নিয়ে এলাকায় অভিযান চালানো হবে’

​​​​​​​যে এলাকায় ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাবে হাসপাতাল থেকে সেই রোগীর নাম-ঠিকানা নিয়ে তার বাসাসহ ওই অঞ্চল চিহ্নিত করে বিশেষ চিরুনি অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

যে এলাকায় ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাবে হাসপাতাল থেকে সেই রোগীর নাম-ঠিকানা নিয়ে তার বাসাসহ ওই অঞ্চল চিহ্নিত করে বিশেষ চিরুনি অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এডিস মশার প্রাদুর্ভাব ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় করণীয় ঠিক করতে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ডাকা জরুরি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে গঠিত 'ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় সেল' এবং দুই সিটি করপোরেশনে সেই তথ্য পাঠানোর জন্য মন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, 'নিয়মিত মশা নিধন অভিযানের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি যে হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার আমাদের সেলে এবং সিটি করপোরেশনে পাঠালে ওই ব্যক্তির বাসা-বাড়ি চিহ্নিত করে পুরো এলাকায় বিশেষ মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।'

সকলের অংশগ্রহণ ছাড়া মশা নিধন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'অভিযান চালানোর সময় সিটি করপোরেশনের লোকজনদেরকে বাসা-বাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ আসে। অনেক সময় আক্রান্ত রোগীর আসল ঠিকানা না দিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হয়। এটি একজন সচেতন নাগরিকের কাজ হতে পারে না। কোথায় এডিস মশার লার্ভা আছে তা নাগরিকরা জানালে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।'

এ ছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যেসব অঞ্চলকে এডিস মশার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে অর্থাৎ যে অঞ্চল থেকে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে সেসব এলাকায় আগামীকাল থেকে চিরুনি অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য উভয় সিটি করপোরেশনে ১০ জন করে ম্যজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'জেল-জরিমানা করার পরও বাসা-বাড়ি অথবা ভবনে আবার দুই-তিনগুণ মশার লার্ভা পাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক। ইচ্ছা করে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, 'ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, রেলওয়ে, সিভিল এভিয়েশন এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব উদ্যোগে এডিস মশা নিধনে কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং প্রয়োজনে সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা নেবে। ব্যক্তি হোক বা সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক নির্মাণাধীন, পরিত্যক্ত বা যেকোনো ভবনে পানি জমিয়ে রেখে ডেঙ্গু প্রজননে ভূমিকা রাখলে তাকে শাস্তি বা জরিমানা করে জনসমক্ষে আনতে হবে। বাসা-বাড়ি, শিল্প কল-কারখানা নির্মাণ করার অধিকার সকলের আছে। কিন্তু জনগণের জান-মাল ক্ষতিগ্রস্ত করার কোন অধিকার কারোরই নেই।'

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
books on Bangladesh Liberation War

The war that we need to know so much more about

Our Liberation War is something we are proud to talk about, read about, and reminisce about but have not done much research on.

16h ago