রাবিতে সংক্রমণ তীব্র গতিতে বাড়ছে, শনাক্তের হার ৮৩.০৭ শতাংশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের বিস্তার ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। রোববার পিসিআর ল্যাব টেস্টের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে সর্বমোট ৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রাবি মেডিকেল সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের বিস্তার ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। রোববার পিসিআর ল্যাব টেস্টের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে সর্বমোট ৯০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের প্রধান চিকিৎসক ডা. তবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে ৬৮টি নমুনার মধ্যে ৩৯টি, বুধবার ৪১টি নমুনার মধ্যে ১৬টি এবং বৃহস্পতিবার ২৭টি নমুনার মধ্যে ১৩টি করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।

ডা. তবিবুর রহমান বলেন, 'আজ অন্য দিনের তুলনায় বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে শনাক্তের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে লক্ষ্য করছি।'

'এ অবস্থায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকল সমানভাবে সচেতনতা অবলম্বন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই,' বলেন তিনি।

ডা. তবিবুর রহমান আরও বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু সশরীরে ক্লাস বন্ধ করেছে, সেহেতু শিক্ষার্থীদের উচিত সেভাবেই ক্যাম্পাসে জনসমাগম না করে রুমে বসে পাঠে মনোযোগ দেয়া। এটি না মানলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।'

এর মধ্যে গত শুক্রবার সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ সপ্তাহের জন্য সশরীরে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময় আবাসিক হলগুলো খোলা রেখে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠক এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্লাস অনলাইনে হলেও পরীক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে স্ব স্ব বিভাগ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে।

এছাড়া, দাপ্তরিক প্রয়োজন ছাড়া বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে কোনো সভা, সমাবেশ ও জনসমাগম না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন 'আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের থাকা, খাওয়া এবং পড়াশোনার সুবিধার কথা বিবেচনা করেই আবাসিক হলগুলো খোলা রেখেছি। তবে খেয়াল করছি শিক্ষার্থীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসচেতনভাবে ক্যাম্পাসে জনসমাগম করছে, যে কারণে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে, কাজেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার কাছে বিনীত অনুরোধ, তারা যেন সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করে নিজ নিজ হলে অবস্থান করে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাইরে ঘোরাঘুরি না করে।'

Comments

The Daily Star  | English

Trade at centre stage between Dhaka, Doha

Looking to diversify trade and investments in a changed geopolitical atmosphere, Qatar and Bangladesh yesterday signed 10 deals, including agreements on cooperation on ports, and manpower employment and welfare.

2h ago