ভালো আছে মানিকগঞ্জে করোনার টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীরা
মানিকগঞ্জে করোনার টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীরা সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী যেসব শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া হয়েছিল তাদের আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। তারা সবাই সুস্থ আছে। তাদের কারো কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, এই অবস্থায় আমরা বলতে পারি স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরুতে কোনো অসুবিধা নেই।
গত ১৪ অক্টোবর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী করেন।
ওই দিন পরীক্ষামূলকভাবে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ জন, এস কে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ জন, সদর উপজেলার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন এবং জাহিদ মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থীদের আমেরিকার তৈরি ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ইতোমধ্যে সুরক্ষা অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে জন্ম সনদ নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করার সুযোগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৪০ হাজার স্কুলশিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকার ১২টি কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিটি জেলায় টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ নেই, সেখানে ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি সেটাও তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে এবং প্রতিটি জেলায় স্কুলের ছেলে-মেয়েদের টিকার দেওয়ার কার্যক্রমও শুরু হয়ে যাবে।
সারা দেশে কবে থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা নিজেরা সবটা করতে পারি না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তালিকা করে, সেই তালিকা আমরা আইসিটি মন্ত্রণালয়কে দেই। তারা নিবন্ধন করার পরে আমরা কার্যক্রম শুরু করতে পারি। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। যতদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় তালিকা দেবে, টিকা মজুদ ও প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা টিকা দিতে থাকবো। টিকা আমাদের কাছে যথেষ্ট আছে এবং আসছেও। স্কুলের ছেলে-মেয়েদের আমরা ফাইজার টিকা দিচ্ছি। ফাইজার টিকা আমাদের হাতে মজুদ আছে। নভেম্বরেও আরও ৩৫ লাখ ডোজ টিকা চলে আসবে।
Comments