পিছিয়ে যাচ্ছে দেশে করোনা টিকা বোতলজাতকরণ
দেশে সরকারিভাবে করোনাভাইরাসের টিকা বোতলজাতকরণের কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছর আগস্টে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে এ কাজ শুরুর নির্দেশনা দিয়েছিল। তবে, তা সম্ভব না হওয়ায় আগামী ১ বছরের মধ্যে করোনা টিকা বোতলজাত করে সরবরাহের সুপারিশ করেছে কমিটি।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কমিটিকে জানিয়েছিল, সরকারিভাবে করোনার টিকা উৎপাদনে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে আছে বিদেশ থেকে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণে টিকা এনে তা ছোট ছোট বোতলে ভরা।
আর, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে আছে টিকা উৎপাদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং প্রয়োজনে মানবদেহে পরীক্ষার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) মাধ্যমে দেশেই টিকা উৎপাদন করা।
সূত্র জানায়, বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টিকা উৎপাদন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে। এতে বলা হয়, টিকার কাঁচামাল ও প্রযুক্তি আমদানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ডায়াডিকের সঙ্গে ওষুধ উৎপাদনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি ৩ বার ভিডিও কনফারেন্স করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছে।
এ ছাড়া, রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আবিষ্কৃত 'প্রোটিন ভ্যাকসিন' তৈরির বিষয়েও আলোচনা চলছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে যন্ত্রপাতি উৎপাদন ও সরবরাহকারী বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাথমিকভাবে প্রাক্কলিত দর প্রস্তুত করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, 'টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করতে হবে। একজন পরামর্শক নিয়োগ দিতে হবে। কোন দেশ থেকে কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি আসবে সেগুলো ঠিক করতে হবে। এসব কাজে একটু সময় লাগবে। এ জন্য সংসদীয় কমিটি এখন এক বছরের মধ্যে টিকা বোতলজাত করে সরবরাহ করা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ছয় মাসের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। কমিটি মন্ত্রণালয়কে বলেছে যে এই কাজে যেন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বা দীর্ঘসূত্রিতা না হয়।'
Comments