দ্রুততম সময়ে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

দ্রুততম সময়ে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আজ রোববার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
khurshid_alam_19sep21.jpg
ছবি: সংগৃহীত

দ্রুততম সময়ে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। আজ রোববার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

খুরশীদ আলম বলেন, শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমরা কাজ করে যাচ্ছি, কীভাবে শিশুদের টিকার আওতায় আনা যায়। যেহেতু স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে এই কাজ করতে আমাদের ওপর নির্দেশনা আছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা এই কার্যক্রম শুরু করবো।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের টিকাদানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রবাসী শ্রমিক ছাড়াও শিক্ষার্থী যাদের সুনির্দিষ্ট টিকা ছাড়া দেশের বাইরে পড়তে যাওয়া সম্ভব না, তাদের টিকাদান কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রেখেছি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‌্যাপিড আরটি পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপনের জন্য আমাদের কাছে কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যেন কাগজপত্র ও সক্ষমতা যাচাই করে কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেই। সে অনুযায়ী আমরা অনুমোদন দিয়েছিলাম। সেখানে দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে— কে দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা করতে পারবে এবং কে কম দামে করবে। যেহেতু প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা যাচ্ছেন, তাদের ওপর যেন অতিরিক্ত অর্থের চাপ না পড়ে সেটা লক্ষ রেখেই এই নির্দেশনা আমাদের দেওয়া হয়েছিল।

একটি কমিটি করে দিতে বলা হয়েছিল, সেই কমিটি ল্যাবরেটরির কাজ পর্যবেক্ষণ করবে। আমরা সেটাও করে দিয়েছি। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আমাদের তালিকা থেকে ল্যাবরেটরি নির্বাচন করতে পারে, আবার অপেক্ষমান যারা আছেন তাদের মধ্যে থেকেও দিতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ার। আমাদের ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নতুন করে করার কিছু নেই। যদিও বিভিন্ন সময় আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি জোর দিয়ে বলবো, এ ব্যাপারে আমাদের ভূমিকা ততটুকু, যতটুকু আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে— বলেন খুরশীদ আলম।

তিনি আরও বলেন, আমরা সময় মতো পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুদ আছে। সামনের দিনগুলোতে প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়ার উৎসগুলো আমরা নিশ্চিত করেছি। এই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রতি মাসে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ১ কোটি টিকা দেওয়াসহ প্রতি মাসে প্রায় ২ কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। মাঠ পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচিকে আরও কী করে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি।

টিকাদান কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্কুল-কলেজগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা আগে যে জায়গাগুলো টিকার জন্য ব্যবহার করতাম, বিশেষত স্কুল— সেখানে বড় জায়গা ছিল, অনেক বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। সেই জায়গাগুলো থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হচ্ছে। যে কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি উপজেলা মিলনায়তন এবং উপজেলার যে কোনো বড় হল রুমে টিকা দেওয়ার কথা আমরা চিন্তা করছি।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের পাশাপাশি আমরা স্বাস্থ্য সহকারীদের মাধ্যমে ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে টিকা দেবো। নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম থাকবে না— সপ্তাহে এমন ২ দিন কোভিড-১৯ এর টিকা আমরা দিয়ে যাব। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কোভিড-১৯ এর টিকাদানের জন্য সাব-সেন্টার নির্বাচন করবেন। টিকা প্রত্যাশীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিবন্ধন করবেন। এসএমএস পাওয়ার পরে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা গ্রহণ করবেন। আইসিটি বিভাগ ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করে টিকা গ্রহণের জন্য এসএমএস পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ছাড়া, প্রতি সপ্তাহে ১ দিন ওয়াক ইন ভিত্তিতে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকাগ্রহণ করতে বলা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Why planting as many trees as possible may not be the solution to the climate crisis

The heatwave currently searing Bangladesh has led to renewed focus on reforestation efforts. On social media, calls to take up tree-planting drives, and even take on the challenge of creating a world record for planting trees are being peddled

51m ago