‘ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জীবন আদর্শকে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছি’

‘পাকিস্তানিরা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে একাত্তরে। আর আমরা বাঙালিরা তাকে, তার জীবন আদর্শকে মাটি ছাপা দিয়ে রেখেছি। অথচ রাষ্ট্রের উদ্ভবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার জীবন।’

'পাকিস্তানিরা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে একাত্তরে। আর আমরা বাঙালিরা তাকে, তার জীবন আদর্শকে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছি। অথচ রাষ্ট্রের উদ্ভবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার জীবন।'

ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্মদিন উপলেক্ষে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে আজ মঙ্গলবার কথাগুলো বলছিলেন তার নাতনী সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।

তিনি বলেন, 'শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জীবন ও কীর্তি বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি হওয়া জরুরি। কেন করেনি, কেন মাটি চাপা দিয়ে রেখেছি—উত্তর জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি অত্যান্ত মর্মাহত।'

'শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত একজন বাঙালি আইনজীবী, সমাজকর্মী ও ভাষাসৈনিক। তিনি তার সারাটি জীবন মানুষের জন্য ব্যয় করেছেন। প্রতিটি প্রজন্মের তাকে জানা দরকার। আমি মনে করি এই দেশে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের যথাযথ মর্যাদা পাওয়া উচিত।'

১৯৮৬ সালের আজকের দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রামরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে উর্দু ও ইংরেজির সঙ্গে বাংলাকে মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকেই ভাষা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত।

ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত চেয়েছিলেন আরমা দত্ত বাংলা মাধ্যমে পড়াশুনা করে প্রকৃত বাঙালি হবেন। দাদার সেই অসাম্প্রদায়িক আদর্শকে বাস্তবে রূপ দিতেই বিয়ে করেন অধ্যাপক মাহবুব আহমদকে। আজও সেই স্বপ্নে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর স্বাধীনতা সংগ্রাম যখন প্রবল আকার ধারণ করে তখন আরমা দত্ত সক্রিয়ভাবে সাংগঠনিক কাজ করতেন।

২০০১ সালে রাজনৈতিক কারণে যখন এ দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় তার বিপক্ষে তিনি শক্তিশালী ভূমিকা রাখেন। নারী জাগরণে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে তিনি বেগম রোকেয়া পদক লাভ করেন।

Comments