চার কবির স্মৃতিতে ভয়াল আগস্ট

একটি জাতির ভরসার স্থল, যাকে ঘিরে জন্মের ইতিহাস, জনগোষ্ঠীর হাজার বছরের হারিয়ে যাওয়া পরিচয় ফিরে পাওয়া তার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সংগ্রামী চেতনা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। সেই মানুষটার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে ১৯৭৫ সালের আগস্টে।
মুহম্মদ নূরুল হুদা, নির্মলেন্দু গুণ, আসাদ চৌধুরী, জাফর ওয়াজেদ। ছবি: সংগৃহীত

একটি জাতির ভরসার স্থল, যাকে ঘিরে জন্মের ইতিহাস, জনগোষ্ঠীর হাজার বছরের হারিয়ে যাওয়া পরিচয় ফিরে পাওয়া তার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সংগ্রামী চেতনা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। সেই মানুষটার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে ১৯৭৫ সালের আগস্টে।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেই প্রাণ দিয়েছেন তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ গোটা পরিবার। এতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়। তার প্রভাব পড়ে সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনেও। প্রসঙ্গত কবিতা লিখেছেন অনেকেই, তাদের মধ্যে অন্নদাশংকর রায়ের লেখা:

যতকাল রবে পদ্মা যমুনা

           গৌরী মেঘনা বহমান

ততকাল রবে কীর্তি তোমার

           শেখ মুজিবুর রহমান।

দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা

           রক্তগঙ্গা বহমান

তবু নাই ভয় হবে হবে জয়

          জয় মুজিবুর রহমান।

১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমির একুশের কবিতা পাঠের আসরে কবি নির্মলেন্দু গুণ, 'আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি' বলে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রকাশ্য প্রতিবাদ করেছিলেন। একই সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের একুশের স্মরণিকা 'জয়ধ্বনি' (১৯৭৭)-তে কবি কামাল চৌধুরীর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে কবিতা 'জাতীয়তাময় জন্ম-মৃত্যু' প্রকাশিত হয়। কবিতাটি লেখা হয়েছিল ১৯৭৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি (সচিত্র বাংলাদেশ জুলাই-আগস্ট, ২০০৯)। এইভাবে সমসাময়িক সাহিত্যিকদের লেখায় শেখ মুজিব এসেছেন নানা প্রসঙ্গে। ঘাত-প্রতিঘাতের অব্যক্ত কথা লিপিবদ্ধ করেন কবি-সাহিত্যিকরা। চলছে আগস্ট মাস, জাতির জনকের প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের শ্রদ্ধা ও স্মরণের এই বিশেষ আয়োজন। আজ থাকছে চার জন নির্বাচিত কবির চোখে আগস্টের ছায়া। তুলে ধরেছেন ইমরান মাহফুজ।

মুহম্মদ নূরুল হুদা

'অভয়দাশ লেনে থাকতাম। চাকরি করতাম বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগে। কী অদ্ভুত মিল। ১৯৭৫ সালেও বাংলা একাডেমিতে চাকরি করেছিলাম, অনেক সময় পেরিয়ে বাংলা একাডেমিতে পুনরায়। মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছি। যাই হোক, প্রতিদিনই ভোরে ঘুম থেকে উঠতাম। ১৫ আগস্ট, সেদিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। উঠেই রেডিও শোনার অভ্যাস ছিল। কিন্তু সেদিনের সংবাদ বিশ্বাস করার মতো না। বঙ্গবন্ধু নেই, এটা কী করে সম্ভব!'

'কিছুক্ষণ থ' হয়ে বসে থেকে, বাংলা একাডেমির নিরাপত্তা বিভাগে টেলিফোন করি। তারা জানায়, নিজেরাও এমনটা শুনেছেন। বিস্তারিত কিছু জানে না। মন খারাপ করে বাহিরে গেলাম। না, পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখলাম না। মানুষজন কম, হাঁটাচলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। দোকানপাট খুব খুলছে না। গাড়ি নেই, রিকশা আছে। থেমে থেমে চলছে মানুষ। বলাবলি করছে, যেখানে বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা হয়নি। সেখানে আমরা তো সাধারণ মানুষ। আমাদের কী হবে!'

'দিনের সময় যত যাচ্ছে, ততই বড় কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে—এমনটা আঁচ করা যাচ্ছে। তারপর একটা রিকশা নিয়ে বাংলা একাডেমির দিকে রওয়ানা হলাম। কিন্তু মন ভীষণ খারাপ। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান, এখানে বঙ্গবন্ধুর আসার কথা। অথচ তিনি আর নেই। মানা যায় না, গতকালও ঘাতকরা তার পাশেই ছিল। তার বিশ্বাস, আন্তরিকতা উদারতাই কাল হলো।'

'মনে পড়ে, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন এবং জাতীয় স্বাধীনতা সংহতকরণে বঙ্গবন্ধুর নির্ভুল নেতৃত্বাধীনে নতুন সমাজ গঠনের সংগ্রামে বাংলাদেশের জনগণের বিরাট সাফল্যের প্রতি উত্তর কোরিয়ার গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। একই দিনে 'বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব বাস্তবায়নে বেসরকারি শিল্পের ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনারে ভাষণ দেন উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। বিশ্ব নন্দিত এমন মানুষটাকেই শেষ করে দিল নিজ দেশের মানুষ। এই মানুষটার কারাজীবন ছিল অনন্ত আলোকায়নের পথে সোচ্চার অভিযাত্রা। কারান্তরাল থেকে জাতীয় স্বাধীনতার বিষয়ে তার উপলব্ধি আরও দৃঢ় ও প্রগাঢ় হয়।'

নির্মলেন্দু গুণ

'আগস্টের কালরাত্রি আমার জীবনকে একেবারে তছনছ করে দেয়। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে নিহত হওয়ার ঘটনাটি আমার বুকের ভিতরে একটি গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে স্তূপ করে রাখা শেখ পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহগুলি দেখার পর আমি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলি। ডোমদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি যে, মর্গে বঙ্গবন্ধুর লাশটি আনা হয়নি। তার লাশ বত্রিশ নম্বরের বাড়িতেই পড়েছিল। সেখানে যাবার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হই। ওই বাড়িটি তখন সৈনিকরা পাহারা দিচ্ছিল। পরিবর্তিত ঢাকার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। তিন দিন তিন রাত্র স্থান বদল করে (মহাদেব সাহা, আসাদ চৌধুরী ও আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ) লুকিয়ে থাকার পর আমি ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নেই। আমি বুঝতে পারি, এই নগরীতে আমার পক্ষে আর ঘুমানো সম্ভব হবে না। আমার ঘুম আসে না। চোখ বুজলেই টিভিতে দেখা খন্দকার মোশতাক, জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উল্লসিত মুখ ভেসে ওঠে।'

'১৮ আগস্ট রাতের ট্রেনে আমার 'হুলিয়া' কবিতার নায়কের মতো লুকিয়ে আমি আমার জন্মগ্রাম কাশবনে ফিরে যাই। আবার কখনো ঢাকায় ফিরে আসবো বা ফিরে আসতে পারব—এমন ধারণা বা বিশ্বাস তখন আমার ছিল না। মনে হচ্ছিল, চিরদিনের জন্য আমার এই প্রিয় নগরী ছেড়ে চলে যাচ্ছি। যে নগরী আমাকে কবি বানিয়ে ভালবেসে তার বুকে তুলে নিয়েছিল। আমার চারপাশে আমি একদল আততায়ীর অস্তিত্ব অনুভব করতে থাকি। অচেনা মানুষদের তো বটেই, আমার খুব চেনা-জানা মানুষদেরকেও সন্দেহ হতে থাকে। আমার মনে হচ্ছিল, বঙ্গবন্ধুর আততায়ীরা আমাকে গোপনে অনুসরণ করছে। আমার মনে হচ্ছিল, আমি যে বঙ্গবন্ধুর রুহুকে আমার বুকের ভিতরে গোপনে বহন করে নিয়ে চলেছি, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা তা জেনে গিয়েছে। আমি একটু অসতর্ক হলেই, ওরা আমাকে হত্যা করবে। গ্রামের বাড়িতে মা-বাবা ও আমার ভাই-বোনদের কাছে ফিরে গেলে হয়তো আমার স্বস্তি আসবে, ভয় কেটে যাবে, আমি হয়তো ঘুমাতে পারবো।'

'কিন্তু না, গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাবার পরও আমার মানসিক অবস্থার উন্নতি হলো না, বরং আমার সন্দেহের তালিকায় এবার আমার আপনজনরাও যুক্ত হলো। আমি নিজে রান্না করে খেতে শুরু করলাম। অপরের দেওয়া খাদ্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলাম। আমার মনে হতে থাকল রাজপুটিনের মতো আমাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হতে পারে।'

'আমি বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে গেটিসবার্গের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। আমি অনেক রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য শুনেছি কিন্তু এটা আমাকে বলতেই হবে যে, বঙ্গবন্ধুর তুলনায় নিপুণ, সুন্দর ভাষণ আর কেউই দিতে পারেননি।'

আসাদ চৌধুরী

'প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলেও সেদিন দেরি হচ্ছিল দেখে আমার স্ত্রী চিৎকার করে উঠালেন। বললেন, বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলেছে, ওঠো। আরে বলো কী! এটা হয় নাকি। এত মানুষের ভালোবাসা, মায়ার নেতাকে কে মারলো! ততক্ষণে বঙ্গবন্ধুর লাশ বাড়ির সিঁড়িতে পড়ে আছে। পরিবারের সদস্যদের লাশ ঢাকা মেডিকেল মর্গে।'

'১৯৭৫ সালে আমরা থাকতাম মালিবাগ বাগানবাড়ি। ফ্রেশ হয়ে অফিসের দিকে ছুটলাম। চাকরি করি বাংলা একাডেমিতে। অফিস খোলা। ভাড়া বাঁচাতে একই রিকশায় দুজন ভাগ করে যেতাম, পেয়ারির সঙ্গে। পেয়ারির আসল নাম সালমা খান, আমার বন্ধু। যেতে যেতে দেখলাম মানুষের চোখে মুখে ভয়। আমরাও আতঙ্কিত হয়ে যখন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল ক্রস করছি, মনে পড়ছে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এখানেই আমার দেখা হয়েছিল। কী চেহারা, মুখ, কথা বলার ধরণ। আসলে বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্ব নেতা ছিলেন।'

'তবে, সব মানুষ আতঙ্কে নেই, কেউ কেউ খুশি হয়েছে মনে হয়। হাসি তামাশা করে সময় কাটাচ্ছে। কারণ তারা কেউ কেউ চেঞ্জ চায়, পরিবর্তন প্রত্যাশী। আবার কিছু আছে, একজন বড় মানুষ হেনস্থার শিকার হলেই মনে পৈশাচিক আনন্দ পায়। এইরকম বিচিত্র মানুষের দেখা। আমার বাসার কাছে জাহানারা ক্লিনিক ছিল। ওষুধ কেনার পর কেউ কেউ আড্ডা দিতো। বঙ্গবন্ধু নিয়ে হাসি তামাশা করতো। এসব দেখে খারাপ লাগতো, রেগে কিছু বলতে চাইতাম। দোকানি পরিচিত, আমায় আস্তে করে সরিয়ে দিতো। বলতো আসাদ ভাই, সময়টা ভালো না।'

'দ্রুত মানুষের আচরণ পরিবর্তন হয়ে গেল। এক সময় যারা সব সময় মুজিব কোট পরে ঘুরতো, তাদের আচরণে ভয়াবহ পরিবর্তন। এটা মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়েছে। বিদ্রুপ ঠাট্টা দেখে তো নির্মলেন্দু গুণ খুব খেপে যেত। বন্ধুরা তাকে বুঝাতাম। পরে একসময় ঢাকা শহর থেকে নেত্রকোনায় চলে গেল।'

জাফর ওয়াজেদ

'বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। হিমালয়ের চেয়ে উঁচু যার ব্যক্তিত্ব ও সাহস। নিজ জাতিকেও করে তুলেছিলেন সাহসী যোদ্ধা। স্বাধীন দেশে ষড়যন্ত্রকারীরা শান্তিতে দেশ পরিচালনা করতে দেয়নি। ঘাতকের নিঃশ্বাস কি তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন? 'নাগিনীরা চারিদিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস'; যিনি নিজেই জনসভায় আবৃত্তি করতেন, তিনি কি টের পাবার সময়টুকু পেয়েছিলেন যে, ঘাতকরা যেকোনো সময়, যেকোনো মুহূর্তেই আঘাত হানবে? বিশ্বাস তো ছিল তার প্রখর, কোনো বাঙালি তাকে হত্যা দূরে থাক, আঘাত করার মতো মানসিকতা রাখে না। ভেবেছিলেন 'সাড়ে সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছো বাঙালি করে, মানুষ করো নি'র বিপরীতে তার বাঙালি মানুষে পরিণত হয়েছে; সুতরাং মনুষ্যবিবর্জিত কোনো কর্মকাণ্ড বাঙালি করবে— এ ছিল ভাবনার জগতে অস্পৃশ্য। অথচ বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। ঘাতকরা তখনো 'শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস' করে অস্ত্র শানিয়ে যাচ্ছে ষড়যন্ত্রের নানা ঘুঁটি পাকিয়ে।'

'দেশজুড়ে নানা রকম অস্থিরতা, অরাজকতার যে ডালপালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে, তা নিরসনের পদক্ষেপগুলো দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। তার প্রতিটি পদক্ষেপই ছিল শান্তি পরিবেশ সৃষ্টির। আর এই সময়টাতে তিনি দ্রব্যমূল্যকে নিয়ে এসেছিলেন নিয়ন্ত্রণে। সব কিছু সুনসান হয়ে ওঠার মুহূর্তগুলো ধরা দিতে থাকে ক্রমশ।'

'১৪ আগস্ট পর্যন্ত দুসপ্তাহের দিনগুলোতে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু কাটিয়েছিলেন খুবই ব্যস্ত সময়। সরকারি কর্মসূচির বাইরেও গঠিত নতুন দল বাকশালের পূর্ণাঙ্গ 'সেট আপ' তৈরিতেও ছিলেন ব্যস্ত। পাশাপাশি খুনিরাও ছিল অপতৎপরতায় লিপ্ত। শেষের দিনগুলোতে খুনিদের সহযোগী, পরামর্শকরাও দেখা-সাক্ষাৎ করেছেন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। তারা কি ঘটনাপূর্ব 'রেকি' করছিলেন নাকি সবটাই দাফতরিক কাজ ছিল, তা স্পষ্ট হয় ঘটনাপ্রবাহে। মূলত বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্য। এই হত্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির নেপথ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে জড়িত ছিল দেশি-বিদেশি অনেক কুশীলব। সেসব ক্রমশ প্রকাশিত হয় এখনো। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু হত্যার ষড়যন্ত্র আজও সম্পূর্ণ ও সঠিকভাবে অনুদঘাটিত।'

Comments

The Daily Star  | English
Road crash deaths during Eid rush 21.1% lower than last year

Road Safety: Maladies every step of the way

The entire road transport sector has long been plagued by multifaceted problems, which are worsening every day amid sheer apathy from the authorities responsible for ensuring road safety.

7h ago