৮ জুলাই ১৯৭১: রাওয়ালপিন্ডিতে ইয়াহিয়া ও কিসিঞ্জারের বৈঠক

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ৮ জুলাই গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি দিন। ১৯৭১ সালের এদিন সকালে দিল্লি থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী হেনরি কিসিঞ্জার। সন্ধ্যায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন তিনি। হেনরি কিসিঞ্জার ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের এই বৈঠকে কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ৮ জুলাই গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি দিন। ১৯৭১ সালের এদিন সকালে দিল্লি থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী হেনরি কিসিঞ্জার। সন্ধ্যায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন তিনি। হেনরি কিসিঞ্জার ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের এই বৈঠকে কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

৮ জুলাই মার্কিন সিনেটের অধিবেশনে প্রভাবশালী মার্কিন সিনেটর ফ্রাঙ্ক চার্চ বলেন, ‘মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে আরও ২৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার অস্ত্র পাকিস্তানে যাবে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন এ অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করতে অস্বীকার করেছেন। নিক্সন প্রশাসন দক্ষিণ ভিয়েতনামের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পছন্দ করেন। কিন্তু, পূর্ব পাকিস্তানে চলমান গণহত্যা বন্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। আবার তিনি পাকিস্তানকে অস্ত্রের চালানের অনুমোদন দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে বন্ধুত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ব্যক্তিগত চিঠি লিখেছেন। অথচ এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে ছয় মিলিয়ন শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু, এই প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট আশ্চর্যজনকভাবে নির্বিকার।’

ঢাকায় এদিন

৮ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকার ধানমন্ডির ‘সাংহাই’ চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আগত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অফিসারদের ওপর মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদের ছোঁড়া গ্রেনেডে কয়েকজন পাকিস্তানি অফিসার নিহত হয়।

একই দিনে ঢাকায় ফিরে পাকিস্তান শান্তি ও জনকল্যাণ কাউন্সিলের সভাপতি মৌলভী ফরিদ আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশের বর্তমান গুরুতর সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এর আগে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে মিসর ও সৌদি আরব সফর করেন মৌলভী ফরিদ আহমদ।

৮ জুলাই পাকিস্তান জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলামের কার্যনির্বাহী সভাপতি আতাহার আলী এক বিজ্ঞপ্তিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করার জন্য আরও উদ্যমের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

ভারতে এদিন

৮ জুলাই ফ্রান্সে পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে পদত্যাগ করা দুই বাঙালি কূটনীতিবিদের প্রশংসা করে অভিনন্দনপত্র পাঠায় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার। সেসময় প্রবাসী সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রান্স সরকারকে এই দুই কূটনীতিবিদকে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

একই দিনে দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান মাযহারুল ইসলাম বলেন, ‘পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সঙ্গে সংগ্রামে ভারত আমাদের মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের পাশে থাকায় ভারতের কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ।

৮ জুলাই বেশ কয়েকটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে ভারতে সফররত কানাডার সংসদীয় প্রতিনিধিদল। শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে তারা কলকাতায় ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে, পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার ঘৃণ্য অপচেষ্টায় মেতেছে। আমরা কানাডায় ফিরে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর কাছে এই অভিযোগ তুলে ধরবো।’

আন্তর্জাতিক মহলে এদিন

৮ জুলাই ব্রিটেনের লেবার পার্টির আন্তর্জাতিক কমিটির বৈঠকে পাকিস্তানের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং নিম্নলিখিত রেজুলেশন গৃহীত হয়।

‘পশ্চিম ও পূর্ব বাংলার মানুষদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এনইসি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও বিশ্বাস করে যে, পাকিস্তানের বর্তমান সংঘাত আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিল বিশ্বাস করে যে, এমন একটি অবস্থার অবতারণা হয়েছে যেখানে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ধস নেমেছে, তাই উন্নয়নের জন্য সাহায্য অর্থপূর্ণ হতে পারে না। সুতরাং, কনসোর্টিয়ামের আসন্ন সভায় পূর্ব পাকিস্তানে যতদিন না পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি করা সম্ভবপর হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রতি সাহায্য ত্রাণ এবং প্রকৃত রোগ ও পীড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখার জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয়, মনে রাখতে হবে যে, যেসব মানুষের সাহায্য অতি প্রয়োজনীয় তারা বর্তমানে পাকিস্তানে নেই। কমিশন অবিলম্বে প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট বিপর্যয়ে তাৎক্ষণিক ত্রাণ পৌঁছানো, জীবন বাঁচানোর জন্য স্থায়ী যন্ত্রপাতি স্থাপন করবে, অপরিহার্য চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত করবে এবং যতদিন না পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা কার্যকর করা সম্ভব নয়, ততদিন প্রয়োজন মোতাবেক পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।’

‘ভারত সরকার এই বোঝা অনুপাতহীনভাবে বহন করছে এবং সম্মেলন শরণার্থীদের সাহায্যে পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের দুর্যোগ ত্রাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানায়। সন্তোষজনক রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া পাকিস্তানে দীর্ঘমেয়াদি সাহায্য একটি নিন্দিত সামরিক শাসনের প্রতি ভর্তুকি মনে হবে। সেই জন্য সম্মেলন সকল দেশ এবং বিশেষ করে পাকিস্তান এইড কনসোর্টিয়ামের সদস্যদের জরুরি মানবিক সাহায্য ব্যতীত সকল সাহায্য থামিয়ে রাখা উচিত, যতদিন না পর্যন্ত পূর্ব বাংলার মানুষ একটি সন্তোষজনক রাজনৈতিক সমাধানে সম্মত হচ্ছে।’

৮ জুলাই ইরানের তেহরানে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আঘাত কড়া সমীচীন নয়। আমরা এরই মধ্যে আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত রেখেছি। একই সঙ্গে আমাদের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরেও রাজি হয়েছেন।’

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদিন

৮ জুলাই যুগোস্লাভিয়ার প্রভাবশালী দৈনিক ‘ভেসার্নজে নভস্তি’ এক প্রতিবেদনে বলে, ‘প্রায় তিন মাস হলো স্বাধীনতাকামী বাঙালীদের দমাতে সামরিক আক্রমণ শুরু হয়েছে। এই প্রথম সেখানে বিনা পাহারায় একজন বিদেশি সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। যদিও বেশিরভাগ চিহ্ন সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে, তাদের নৃশংসতার কিছু প্রমাণ এখনো  আছে। রাজধানী ঢাকা এখনও ভয়, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের শহর। সরকার বলছে “স্বাভাবিক পরিস্থিতি”, যদিও রাস্তায় মানুষজন প্রায় চুপিসারে চলছে, আর গাড়ি তেমন দেখা যাচ্ছে না। ঢাকায় অনেক সৈন্য আছে। তবে, পশ্চিম পাকিস্তান থেকে স্পেশাল পুলিশ স্কয়াড আনা হয়েছে। তারা যানবাহন ও মানুষকে চেক করছে এবং গ্রেপ্তারের হার প্রচুর। “স্বাভাবিক”র একটি নমুনা হচ্ছে যদি কেউ বাংলা রেডিও-স্টেশনের অনুষ্ঠান শোনে, তাহলে তাকে  ভয়াবহ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। অসংখ্য দোকান এখনও বন্ধ। গাড়ির নম্বর-প্লেটের বাংলা পরিবর্তন করে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে। রাস্তায় কানাঘুষা চলছে যে পাকসেনারা এখনও বাঙালিদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের গ্রেপ্তার করছে এবং কখনও কখনও মেরে ফেলছে। যদিও ট্যাংক এবং রকেটের নিশানা মুছে ফেলা হয়েছে, তবুও ভয়ের ছায়া স্পষ্ট। ভারতে চলে যাওয়া সাড়ে ৬০ লাখ পাকিস্তানির মধ্যে ৪০ লাখ ছিল হিন্দু। এদের বন্দুকের মুখে যেতে হয়েছে। সরকার তাদের মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তাদের ফেলে যাওয়া ঘরবাড়িগুলো “অনুগত” নাগরিকদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

৮ জুলাই ঘানা থেকে প্রকাশিত ‘পালাভার উইকলি’ এক প্রতিবেদনে বলে, ‘২৫ মার্চ ১৯৭১ রাতের অন্ধকারে রচিত হয় মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধের এক চিত্র। সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব পাকিস্তানের ৭৫ মিলিয়ন জনগণের বিরুদ্ধে একটি রক্তপিপাসু সামরিক জান্তা ঝাঁপিয়ে পড়ে। বহু সংবাদপত্র, আলোকচিত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা দিয়ে ইতিহাসের নির্মম গণহত্যার রিপোর্ট প্রামাণিক আকারে প্রকাশ করে। প্রখ্যাত ব্রিটিশ এমপি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য রাষ্ট্রযন্ত্রের লোক ও জাতিসংঘ মহাসচিবসহ অনেকে সরাসরি এই অপরাধের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিবাদ করেছেন। সব প্রমাণ ও রিপোর্টে এটিকে পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দ্বারা নির্মমভাবে সম্পাদিত ইচ্ছাকৃতভাবে পরিকল্পিত ভয়াবহ গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।’

একই দিনে ভারতের দ্য স্টেটসম্যানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট নিক্সনের বিশেষ দূত ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জারকে ভারতীয় নেতারা জানান যে, মার্কিন সরকারের পাকিস্তানে অস্ত্র ক্রমাগত সরবরাহে উপমহাদেশে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়েই জোরালোভাবে জানান যে, তারা এটা মেনে নেবেন না। আমেরিকা ব্যাখ্যা দিয়েছিল যে, তারা শুধু অপ্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং তা শুধু আমলাতান্ত্রিক বন্ধনের কারণে। তারা বলেন যে, এই কথা সত্য নয়। কিসিঞ্জারকে সামরিক অর্থের বাইরে থেকেই এর প্রভাব সহজ ভাষায় তুলে ধরা হয়। কিসিঞ্জার স্পষ্টতই বলতে চেয়েছেন এটা শুধু প্রান্তিক-রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু নয়। সরদার শরণ সিং পাকিস্তানে “অব্যাহত এবং ক্রমাগত” অস্ত্র সাহায্যের প্রতিকূল প্রভাব সম্পর্কে ড. কিসিঞ্জারের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। শরণ সিং বলেন, “তথাকথিত অপ্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়েও চরম মারাত্মক অস্ত্রের ইঞ্জিন সক্রিয় করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। পাকিস্তানে অস্ত্র সাহায্যের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন এবং উপমহাদেশের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়বে”।’

দেশব্যাপী প্রতিরোধ যুদ্ধ

৮ জুলাই মুক্তিবাহিনীর একটি দল সিলেটে ডাউকি থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জৈন্তাপুর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই অতর্কিত আক্রমণে বহু হানাদার সেনা নিহত হয়। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা মেজর মুত্তালিব গুরুতরভাবে আহত হন।

সেদিন সিলেটে মুক্তিবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর শাহবাজপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘাঁটি আক্রমণ করে। সেসময় সাত জন হানাদার সেনা নিহত হয়।

একই দিনে মুক্তিবাহিনী দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও নিজেদের দখলে নেয়। এর আগে মুক্তিবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দুই দিনব্যাপী প্রচণ্ড যুদ্ধ করেছিল। এই যুদ্ধে প্রচুর হানাদার সেনা নিহত হয়েছিল। 

৮ জুলাই সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মুক্তিবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় হানাদার বাহিনীর সাত সৈন্য ও পাঁচ রাজাকার নিহত হয়।

সেদিন ফেনীর পরশুরামের বিলোনিয়া থেকে ফিরে মেজর গাফফার কোনাবোনে তার কোম্পানির সদর দপ্তর স্থাপন করেন।

৮ জুলাই আকাশবাণীর খবরে বলা হয়, ‘মুক্তিবাহিনী প্রচণ্ড আক্রমণ চালিয়ে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার তিনটি থানা হানাদারমুক্ত করেছে। সিলেট, কুমিল্লা, ফেনী, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ প্রভৃতি রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনীর তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তথ্যসূত্র:

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র তৃতীয়, সপ্তম, অষ্টম, দশম, দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ খণ্ড

দৈনিক পাকিস্তান, ৯ জুলাই ১৯৭১

দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকা, ৯ জুলাই ১৯৭১

দ্য স্টেটসম্যান, ৯ জুলাই ১৯৭১

আহমাদ ইশতিয়াক

[email protected]

Comments

The Daily Star  | English

Cuet students suspend protests

Say authorities assured them of meeting their major demands

4h ago